গত ২ মাস ধরে চলা অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি কিছুটা প্রশমিত হতেই আজ থেকে কাশ্মীরের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে সাধারণ পর্যটকদের জন্য। তবে কাশ্মীরে পর্যটকদের যাতায়াতের উপরে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে কার্যত ‘প্রহসন’ বলে দাবি করলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, কাশ্মীরে ইন্টারনেট-সহ পরিষেবা এবং চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ৬৫ দিন ধরে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারাই বিপাকে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের কাশ্মীর যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখাতে এ দিন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু আসেননি পড়ুয়ারাও।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের ঠিক আগে উপত্যকা থেকে পর্যটকদের সরিয়ে দেওয়া হয়। ৭ অক্টোবর রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের তরফে জানানো হয়, পর্যটকদের চলাচলের উপরে আর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। শ্রীনগরের হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা নাজির আহমেদ গাড়ার মতে, ‘‘বিশ্বকে ফাঁকি দিতে এই প্রহসন চালাচ্ছে সরকার।’’
কাশ্মীরে আগেই স্কুল খোলা হলেও অধিকাংশ পড়ুয়াই আসেনি। আজ একই চিত্র দেখা গিয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে। শ্রীনগরের একটি সরকারি কলেজে আসা কয়েক জন পড়ুয়া জানালেন, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তাঁরা। কারণ, যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞার ফলে কথাবার্তা প্রায় বন্ধ। পরীক্ষা হবে কি না তা-ও জানতে চেষ্টা করেছেন অনেকে। যার ফলে সেখানে বিপদে পড়ছেন সাধারণ জনগণও।