এনকাউন্টারের নেশা কাটছেই না যোগীর পুলিশের। এবার উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে পুলিশের ‘ঠোক দো’ নীতির বলি হলেন ২৮ বছরের এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার। পুলিশের দাবি, ওই যুবক বালি মাফিয়াদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কয়েকদিন আগে তাঁর বালির লরি আটকানো হয়। রবিবার তিনি এক সাব ইনস্পেকটরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পালটা গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে মৃতের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, তিনি পুলিশকে ঘুষ দিতে অস্বীকার করেছিলেন। তাই তাঁকে গুলি করে মারা হয়েছে।
ওই এনকাউন্টার নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব জানিয়েছেন, তিনি ঝাঁসিতে মৃতের বাড়িতে যাবেন। পুলিশের দাবি, মৃতের নাম পুষ্পেন্দ্র যাদব। কয়েকদিন আগে যে পুলিশ ইনস্পেকটর তার লরি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন, তাঁকে তিনি মারতে গিয়েছিলেন। রবিবার ইনস্পেকটরকে লক্ষ্য করে সে গুলি চালায়। গুলি তাঁর শরীরে লাগেনি। তখন পুষ্পেন্দ্র খুব জোরে গাড়ি চালিয়ে পালাতে চেষ্টা করে। তখনকার মতো পালিয়ে গেলেও কয়েক ঘণ্টা বাদে পুলিশ ফের গাড়িটিকে দেখতে পায় ও তাড়া করে। তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও তিনি তা না করায় তাঁর দিকে গুলি চালানো হয়।
তবে পুষ্পেন্দ্রর বাড়ির লোকজনের দাবি, যেখানে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, রবিবার রাতে ওই এলাকার চার্জে ছিলেন ধর্মেন্দ্র চৌহান নামে এক পুলিশ ইনস্পেকটর। তিনি পুষ্পেন্দ্রর লরি আটকে দেড় লক্ষ টাকা ঘুষ চান। পুষ্পেন্দ্র তাঁকে ভয় দেখিয়ে বলে, ঘুষ চাওয়ার কথা সকলকে জানিয়ে দেব। তখনই ইনস্পেকটর তাকে গুলি করে মারেন। পুষ্পেন্দ্রর স্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী আগে ওই ইনস্পেকটরকে ঘুষ দিয়েছিল। কিন্তু তিনি আরও টাকা চাইতে থাকেন। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হতে পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসাররা এখন বলছেন, এনকাউন্টারের তদন্ত হবে। কিন্তু অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে এখনও এফআইআর করা হয়নি।