কেন্দ্র সরকারের অধীনস্থ টেলি কমিউনিকেশন সংস্থা বিএসএনএল বন্ধের প্রস্তাব দিল অর্থ মন্ত্রক।
জাতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রক বিএসএনলকে আর্থিক সাহায্য দিতে রাজি নয়। বরং, সংস্থাটি পুরোপুরি বন্ধের সিদ্ধান্তে তাঁরা একপ্রকার শিলমোহর দিয়ে দিয়েছে। বিএসএনএলের পাশাপাশি মহানগর টেলিফোন নিগম অর্থাৎ এমটিএনএলও বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে অর্থমন্ত্রক।
সরকারের টেলিকমিউনিকেশন দপ্তরের তরফে অর্থমন্ত্রককে সুপারিশ করা হয়েছে, বিএসএনএলকে বাঁচাতে এখনই অন্তত ৭৪ হাজার কোটি টাকা সরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন। অন্যদিকে, বিএসএনএলকে যদি বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে কর্মচারিদের ক্ষতিপূরণ দিতেও এই খরচের কাছাকাছি খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও টেলিকম দপ্তরের দাবি, এই মুহূর্তে সংস্থা বন্ধ করতে গেলে খরচ হবে ৯৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রকের হিসেব বলছে, বিএসএনএলের কর্মীদের ক্ষতিপূরণ বাবদ যে টাকা খরচের কথা বলা হচ্ছে, বাস্তবে তার চেয়ে অনেকটাই কম খরচ হবে। তাই ভগ্ন সংস্থাকে না বাঁচিয়ে তাঁকে বন্ধ করে দেওয়ায় শ্রেয় মনে করছে অর্থমন্ত্রক।
যাঁরা বিএসএনএলের স্থায়ী কর্মী, তাদের সরকারের তরফে জরিমানা দিয়ে স্বেচ্ছাবসরের প্রস্তাব দেওয়া হবে। এবং যাদের যাদের অন্য সরকারি সংস্থায় চাকরি দেওয়া সম্ভব, তাদের অন্য সংস্থায় চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। এই মুহূর্তে বিএসএনএলের কর্মী সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৬৫ হাজার।
বিএসএনএলের পাশাপাশি এমটিএনএলের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অন্তত এমনটাই দাবি করা হয়েছে ‘ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদনে। যদিও, অর্থমন্ত্রকের তরফে এ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।