“ও ঠাকুর যেও না বিসর্জন, হাসিমুখ থাকুক প্রিয়জন”…
আজ আপামর বাঙালিকে কাঁদিয়ে উমার ফেরার পালা। মন না চাইলেও অশ্রুভরা চোখে চলছে দেবী বরণ, সিঁদূর খেলা। প্রায় ৪-৫ মাস আগে থেকে যে ক’টা দিনের অপেক্ষা প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল আজ তার শেষ লগ্ন। আবার রোজকার নিয়ম মাফিক জীবনে ফেরা।আবার ঘরের মেয়ের ঘরে ফেরার অপেক্ষার দিন গোনা।
ইতিমধ্যেই সকাল থেকে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন মণ্ডপে শুরু হয়ে গিয়েছে সিঁদুর খেলা। তবে, নিয়মমাফিক সিঁদুর খেলা ও বরণ হলেও আজই সব মণ্ডপে বিসর্জন নয়। আরও এক-দু’দিন প্রতিমা থাকছে শহরের বিভিন্ন পুজার মণ্ডপে। তাই এখনও যে শারদীয়ার আমেজ বজায় থাকবে তা বলাই বাহুল্য। দশমীর দিনেও তাই কলকাতায় বজায় থাকছে প্যান্ডেল হপিং।
বিজয়া দশমীর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে আগামী বছরের পুজোর প্রতীক্ষা। আর এবারের অপেক্ষাটা অন্যান্য বছরের তুলনায় কিঞ্চিত লম্বা। ২০২০ সালে মহালয়ার ৩৫ দিন পর দুর্গাপুজো হবে। আগামী বছর আশ্বিনে নয়, পুজো হবে কার্তিক মাসে। শুধু তাই নয় আগামী বছর মহালয়ার ৩৫ দিন পর পুজো। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত এবং গুপ্ত প্রেস দুই পঞ্জিকা মতেই, আগামী বছর দুটো অমাবস্যা একই মাসে পড়ায় আশ্বিন মাস মল মাস। ফলে পুজো পিছিয়ে কার্তিক মাসে হবে। মহালয়া ১৭ সেপ্টেম্বর হলেও, বোধন অর্থাৎ ষষ্ঠী পড়েছে তার ৩৫ দিন পর, ২২ অক্টোবর। অর্থাত্ অপেক্ষা প্রায় ৩৮০ দিনের। তবে, আগামী বছর পুজো কিছুটা দেরিতে হলেও সেই নিয়ে যেন কিছুটা খুশিই আমজনতা। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে পুজো হলে বর্ষার ভ্রুকুটি এড়িয়ে ভাল পরিস্কার আবহাওয়া পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে, সারা পুজোর মতো দশমীর দিনেও থাকছে বৃষ্টির ভ্রুকুটি। সকাল থেকে আকাশ মেঘহীন থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে পারে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে, বিকালের পর থেকে আকাশ মোটামুটি পরিস্কারই থাকবে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর।