পুজোর আবহে পাহাড়ে বনধ। ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে বনধ ডাকলেন চা বাগানের শ্রমিকেরা। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ডাকে আজ সকাল থেকে শুরু হল দার্জিলিং জুড়ে ১২ ঘন্টার বনধ।
চা শ্রমিকদের পুজো বোনাসের দাবিতে আজ শুক্রবার, দার্জিলিং পাহাড়ে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে মোর্চার বিনয় তামাংপন্থী সংগঠন-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির চা শ্রমিক ইউনিয়নের জয়েন্ট ফোরাম নেতৃত্ব। এদিন ভোর ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৪টা পর্যন্ত দার্জিলিং সদর, কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিক, বিজনবাড়ি ও সোনাদা-সহ পাহাড়ের সমস্ত এলাকায় বাজারঘাট বন্ধ থাকবে।
শিলিগুড়ি থেকে কোনও যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি উপরের দিকে ওঠেনি। এতে বিরাট পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে দার্জিলিং পর্যটন শিল্প। চা বাগান শ্রমিকদের দাবি, ২০ শতাংশ হারে পুজো বোনাস চাই। এই দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই চলছিল আন্দোলন। বৃহস্পতিবার জানানো হয়, শুক্রবার ভোর ৪টে থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত অর্থাৎ ১২ ঘণ্টার বনধ পালিত হবে দুই পাহাড়ি জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে।
বনধের জোরালো সমর্থনে দার্জিলিংয়ের চকবাজার-সহ পাহাড়ের সর্বত্র পোস্টারও পড়েছে। পাহাড়ের ৭৮টি চা বাগানের চা শ্রমিকরাও এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছেন। দুধ, ওষুধের দোকান ও অ্যাম্বুল্যান্স সহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবাকে অবশ্য বনধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
তবে বনধ চললেও পর্যটকরা আছেন নিরাপদেই। আজ, ষষ্ঠীর সকাল থেকে পাহাড়ে আসতে শুরু করেছেন বহু পর্যটক। তাঁদের কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি বলেই খবর। এনজেপি স্টেশন, দার্জিলিং মোড় ও বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে অন্যদিনের মতোই পাহাড়ে আসার গাড়ি মিলছে। পথে কোথাও বনধ সমর্থনকারীরা পর্যটকদের গাড়ি থামাচ্ছে না।