দেশের বাজারে অগ্নিমূল্য পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া ইকনমিক সামিটে’ যোগ দিয়ে এই বিষয়েই মোদী সরকারকে খোঁচা দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠক হলেও মোদী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসে এই প্রথম ভারত সফরে এলেন পড়শি প্রধানমন্ত্রী।
‘আপনারা কিছু না জানিয়েই পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করে দিলেন। এতে একটু সমস্যা হচ্ছে। আমি জানি না, কেন পেঁয়াজ যাচ্ছে না। তবে আমি রাঁধুনিকে বলে দিয়েছি, খাবারে পেঁয়াজ দেবে না।’ বক্তব্য রাখতে উঠে এমনই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তবে পরিস্থিতি দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ রেখেছ ভারত।
অগ্নিমূল্য পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বিদেশে পেয়াঁজ রফতানি বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড। এছাড়াও পেঁয়াজ মজুতের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পেঁয়াজের পাইকারি বাজারেও। মাত্র ঘণ্টাখানেকে ব্যবধানেই কেজি প্রতি ৮ (বাংলাদেশি) টাকা দাম বেড়ে যায় পেঁয়াজের। যার জেরে বাংলাদেশের অধিকাংশ বাজারেই প্রায় ৮০ টাকা (বাংলাদেশ)-তে বিক্রি হচ্ছে এক কেজি পেঁয়াজ।