পুজোর মধ্যে বর্ষা। এই বছর সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে রাজস্থান থেকেই বর্ষা-বিদায় শুরু হয়নি এখনও। উত্তরপ্রদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। সেটি আরও পূর্বের দিকে সরে আসবে। ফলে তার টানে আরও বেশি করে জলীয় বাষ্প ঢুকবে। এর প্রভাবে মালদা, দুই দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম জেলায় তুলনায় বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। বঙ্গোপসাগরেও একটি উচ্চচাপ বলয় রয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গত করছে রোদ।
আবহবিদরা মনে করছেন, সোমবার অর্থাৎ নবমীতে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার উদয় হতে পারে। এর জেরে নবমী-দশমীতে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, উৎসবের শুরুতেই প্রতিমা-দর্শন শেষ করে ফেলা সবচেয়ে ভালো।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ উৎসবমুখর বাঙালি। বর্ষা এ রাজ্য থেকে বিদায় নিতে মোটামুটি অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ কেটে যায়। আর এবার পুজো পড়েছে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই। সেক্ষেত্রে বৃষ্টিতে পুজোর পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা যেন আরও প্রকট হচ্ছে। বৃষ্টি মাথায় করে নতুন জামাকাপড় পরে পুজোর দিনগুলো মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন করে কাটবে কি না, সেই আশঙ্কায় দিন কাটছে উৎসবমুখর বাঙালির।
মহাষষ্ঠীর সকালে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হয়েছে। দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতা লাগোয়া কয়েকটি এলাকা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। যার জেরে পুজোর আনন্দে কিছুটা হলেও ভাটা পড়তে পারে দর্শনার্থীদের৷ এ দিন হাওয়া অফিস জানিয়েছে, হাওড়ার জেলাগুলিতে৷