জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য বৃহত্তর স্বার্থে ই-সিগারেটের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারির পরামর্শ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই পরামর্শ মেনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ই-সিগারেট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। সিগারেটের আসক্তি কাটাতে অনেকেই ই-সিগারেট ব্যবহার শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাতে সমস্যা বাড়ছিল। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বারবার ই-সিগারেটের ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলি সম্পর্কে সচেতন করছিলেন।
উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার ঘোষণা করল, রাজ্যে কোথাও কেউ ই-সিগারেট কিনলে বা কোনও রমক বিজ্ঞাপন দিলে অথবা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত থাকলে এক বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। সঙ্গে হতে পারে এক লাখ টাকা জরিমানা।
ই-সিগারেটের তরল মিশ্রণ (ই-লিকুইড)-এর মধ্যে থাকে প্রপেলিন গ্লাইসল, গ্লিসারিন, পলিইথিলিন গ্লাইসল, নানাবিধ ফ্লেভার এবং নিকোটিন। গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রাসায়নিক গুলি থেকে সাধারণ সিগারেটের ধোঁয়ার সমপরিমাণ ফরমালডিহাইড উৎপন্ন হয়। ফলে ভয়ানক ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যায়।
ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিং বিভিন্ন জেলার পুলিস আধিকারিকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে লেখা রয়েছে, ই-সিগারেট নিয়ে সরকারের নিষেধাজ্ঞা পালন করতে হবে। না হলে কড়া পদক্ষেপের নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন।