আজ তিহাড়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করতে আসেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী। সনিয়া-মনমোহনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর চিদম্বরম টুইট করে জানান, ‘শ্রীমতি সনিয়া গান্ধী, ডঃ মনমোহন সিং আমার সঙ্গে দেখা করায় আমি সম্মানিত বোধ করছি। যতক্ষণ দল পাশে আছে, ততক্ষণ আমি সাহস, শক্তি হারাচ্ছি না।’
আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গত ২১ আগস্ট প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গ্রেফতারের পর ১৫ দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিহাড় জেলেই রয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের অভিযোগ, অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ‘আইএনএক্স মিডিয়া’ নামের সংস্থাকে বিদেশ থেকে বেআইনি ভাবে ৩০৫ কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এই টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য চিদম্বরমকে বিপুল অঙ্কের টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ‘আইএনএক্স মিডিয়া’র তৎকালীন কর্ণধার পিটার মুখার্জি এবং ইন্দ্রাণী মুখার্জি।
২০১৭-এর মে মাসে সিবিআই প্রথমবার ‘আইএনএক্স মিডিয়া’ দুর্নীতি মামলায় এফআইআর করে। ২০১৮-এ এই মামলায় নাম জড়ায় পি চিদম্বরমের। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের মামলা করে। ওই বছরই ফেব্রুয়ারি মাসে ‘আইএনএক্স মিডিয়া’ দুর্নীতি মামলায় চিদম্বরমের ছেলে কার্তিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। যদিও পরে দিল্লি হাইকোর্ট জামিন পেয়ে যান কার্তি।
২০১৮-এ দফায় দফায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে চিদম্বরমকে। ২১ আগস্ট গ্রেফতার হওয়ার আগে চিদম্বরম আগাম জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন, যা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে চিদম্বরম অভিযোগ করেন, হেনস্থা করার জন্যই সিবিআই তাঁকে তিহাড় জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। চিদম্বরমের গ্রেফতারির ঘটনায় কেন্দ্রে বিরুদ্ধে হেনস্থা, প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁর ছেলে কার্তি-সহ কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ব। আজ তাই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তিহাড় জেলে দেখা করেন মনমোহন এবং সনিয়া।
এ দিন চিদম্বরমের ছেলে কার্তিও দেখা করেন বাবার সঙ্গে। তিহাড় জেলে বাবার সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্তি জানান, মনমোহন সিং এবং সনিয়া গান্ধী যে ভাবে পি চিদম্বরম ও তাঁর পরিবারের পাশে রয়েছেন, তাতে তিনি ও তাঁর পরিবার কৃতজ্ঞ। তিনি আরও জানিয়েছেনজ “তাঁদের সমর্থন এই রাজনৈতিক লড়াইয়ে আমাদের মনবল অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে”।