ফলাও করে সুদের হার বাড়ানোর খবর ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কিন্তু গত আর্থিক বছরের সুদই এখনও ঢোকেনি কারও অ্যাকাউন্টে। কথা হচ্ছে পিএফ অ্যাকাউন্টের। জানা গেছে, এখনও সাধারণ মানুষের পিএফ অ্যাকাউন্টে গত আর্থিক বছরের সুদ জমা হয়নি। যে খবর প্রকাশ্যে আসতেই বেকায়দায় পড়েছে মোদী সরকার৷ অস্বস্তি এড়াতে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গওয়ার জানিয়েছেন, উৎসব শুরুর আগেই তাঁরা ওই সুদ দিয়ে দেবেন। কিন্তু এতদিন সুদ দেওয়া হয়নি কোনও। উত্তর দিতে পারেননি মোদীর মন্ত্রী।
কেন্দ্রের সুদ দেওয়ার এই ঢিলেমিতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে বেসরকারি ‘এগজেমটেড ট্রাস্ট’গুলি। কারণ সুদ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়ায় ট্রাস্টগুলি চূড়ান্ত হিসেব তৈরি করতে পারছে না। সেই হিসেব তৈরি হওয়ার পর, আগামী মাসের মধ্যে তার অডিট শেষ করার কথা সংস্থাগুলির। প্রসঙ্গত, অধিকাংশ বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বেতন থেকে পিএফ বাবদ যে টাকা কাটা হয়, তার সঙ্গে কর্মদাতার দেওয়া টাকা একসঙ্গে জমা হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা এমপ্লয়িজ প্রাভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা ইপএফও’তে।
ওই সংস্থাই সেই গচ্ছিত টাকার ওপর সুদ দেয় এবং সময় মতো গ্রাহক বা কর্মচারীকে তা সুদে-মূলে ফেরত দেয়। কিন্তু এমন বহু সংস্থা বা কোম্পানি আছে, যারা কর্মীর বেতন থেকে কেটে নেওয়া টাকা এবং নিজেদের কন্ট্রিবিউশন বাবদ টাকা ইপিএফওতে জমা না করে একটি ট্রাস্ট গড়ে নিজেদের কাছেই গচ্ছিত রাখে। এগুলিকেই বলে এগজেমটেড ট্রাস্ট। তবে টাকা সেই ট্রাস্টে থাকলেও তারা ঠিকভাবে সেই তহবিল গচ্ছিত রাখছে কিনা তার ওপর সম্পূর্ণ নজরদারি থাকে ইপিএফও-র। কেন্দ্র পিএফ সংক্রান্ত যে যে আর্থিক সুবিধা ঘোষণা করে, তা ওই ট্রাস্টগুলিকে তাদের আওতায় থাকা কর্মীদের দিতে হয়।
গত আর্থিক বছরের সুদের হার ফেব্রুয়ারি মাসে ঘোষণা করেছিল শ্রম মন্ত্রক। জানিয়েছিল, ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে। আশা ছিল, নতুন আর্থিক বছরের শুরুতেই সেই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে৷ তেমনটাই রীতি। কিন্তু অর্থ মন্ত্রক ছাড়পত্র না দেওয়ায় সেই বিজ্ঞপ্তি এখনও জারি করেনি কেন্দ্র। বিতর্কের আঁচ মিলতেই গত মঙ্গলবার শ্রমমন্ত্রী আগেভাগে জানিয়ে দেন যে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ব্যস্ত থাকায় এই বিষয়টিতে গড়িমসি হয়েছে। কিন্তু তাতেও বিতর্ক এড়ানো যায়নি।