মেদিনীপুরে মোদী সরকারের এনআরসির প্রতিবাদে পথে নামল তৃণমূল। সোমবার বিকেলে মেদিনীপুর কলেজ ময়দান থেকে বার হয় তৃণমূলের মহামিছিল। ৫০ হাজারের বেশি তৃণমূল কর্মী–সমর্থক এই মিছিলে পা মেলান। মিছিলের প্রথম সারিতে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, তৃণমূলের সমস্ত বিধায়করা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “বিজেপি দেশ জুড়ে অন্ধকার দিন ফিরিয়ে আনতে চলেছে। এনআরসি–র ভয় মানুষের মনে ঢুকিয়ে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে”।
এদিন গড়বেতার পিয়াশালা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৫ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। জয়ন্ত পাত্র, তপন পাত্র–সহ ১৫ জন বিজেপি কর্মীর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন গড়বেতার তৃণমূল বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী। জয়ন্ত পাত্র বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করছি। কিন্তু যেভাবে আসামে এনআরসি–র নামে কার্গিল যুদ্ধের সৈনিক, ইসরোর বিজ্ঞানীর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তাতে আমরা আতঙ্কিত। একমাত্র তৃণমূল এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাই আমরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম। এনআরসি–র নাম করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে তাদের পেটে মারার কৌশল নিয়েছে এটা বুঝতে পেরে দাসপুর, সবং, ঘাটাল, নারায়ণগড়, কেশিয়াড়ি, ক্ষীরপাই–সহ জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ছুটে এসেছেন মানুষ। শামিল হয়েছেন তৃণমূলের মহামিছিলে।