চলছে ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব। সেখানে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স নজর কাড়া। প্রথম ম্যাচে দুরন্ত খেলে শেষ মুহূর্তে ওমানের কাছে হেরে গেছে ব্লু টাইগার্স। আর দ্বিতীয় ম্যাচে এশিয়ার সেরা কাতারকে মাঠে আটকে দিয়েছেন গুরপ্রীত সিং সান্ধু, সন্দেশ ঝিংগান, আদিল খানরা। আর এই দুরন্ত খেলার অন্যতম কান্ডারি ভারতের কোচ স্টিম্যাচ। গত মে মাসে দায়িত্ব নিয়ে তিনি বদলে দিতে পেরেছেন জাতীয় দলের মানসিকতা।
দোহায় কাতারকে রুখে দেওয়ার পরেও স্টিম্যাচ হাঁটতে চান বাস্তবের রুক্ষ্ম মাটিতে। তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘আমাদের কাজ ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। এই মুহূর্তে ভারত রয়েছে চতুর্থ স্থানে। আগামী দু’টি ম্যাচে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তাকে হারাতে পারলে আমরা কিছুটা ভালো জায়গায় পৌঁছাব। অতীতকে আঁকড়ে পড়ে থাকলে ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়ানো সম্ভব নয়। কাতার ম্যাচে ছেলেরা সাহসী ফুটবল খেলছে। সেটাকে ধরে রাখতে পারলেই বাংলাদেশকে হারানো সম্ভব।’
২০২২ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে সেজে উঠছে কাতার। দোহায় ম্যাচ খেলে ফেরার পর ভারতের জাতীয় দলের কোচ স্টিম্যাচ বলেছেন, ‘অসাধারণ অভিজ্ঞতা। অ্যাওয়ে দল হিসেবে যে আতিথেয়তা পেয়েছি তা ভোলার নয়। আমার মনে হয়, তিন বছর পরে সর্বোত্তম বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কাতার।’ উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ মরশুমে কাতারের ক্লাব আল-শাহানিয়ার দায়িত্বে ছিলেন স্টিম্যাচ। স্মৃতি রোমন্থনে তাঁর বক্তব্য, ‘দু’বছর আগে কাতারে ফুটবল অনুরাগীর সংখ্যা কম ছিল না। কিন্তু বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়ে ওরা যেভাবে পরিকাঠামো উন্নয়ন করেছে তা অবিশ্বাস্য। দু’বছরে কত কিছু বদলে গিয়েছে। অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম। মখমলের মতো মাঠ। পাশাপাশি প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড, যাতায়াত ব্যবস্থা, হোটেল সবকিছুই অনবদ্য।’ প্রসঙ্গত, এই পর্বে সুনীল ছেত্রীদের পরবর্তী ম্যাচ আগামী ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচটি হবে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে।