কেন্দ্রের নয়া মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্টে মাত্রাতিরিক্ত জরিমানার ফলে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বুধবার তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বাংলায় এই আইন লাগু হবে না। কারণ তিনি এত বেশি ফাইন নেওয়ার পক্ষপাতী নন। সেই কারণে নতুন আইন তিনি বলবৎ করছেন না।
মোদীর গড় বলে পরিচিত বিজেপি শাসিত রাজ্য গুজরাতও মমতার পন্থা অবলম্বন করেছে। জানিয়েছে, তারা অত চড়া হারে জরিমানা আদায় করতে রাজি নয়। তাতে অস্বস্তি বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। সেই অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরাখণ্ডও এবার জানিয়ে দিল, তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কথামতো চড়া হারে ফাইন নিতে রাজি নয়। তবে এখানেই শেষ নয়।
বিজেপি শাসিত কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাও ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি গুজরাত ও উত্তরাখণ্ডের পথে যাওয়ার কথা ভাবছেন। ট্রাফিক জরিমানা কতটা কম হারে নেওয়া যায়, সেই ব্যাপারটা খতিয়ে দেখতে তিনি সরকারি অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন।
একইসঙ্গে শোনা যাচ্ছে, আগামী দিনে আরও কয়েকটি রাজ্য কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া হারে ফাইন নিতে অস্বীকার করতে পারে। ইতিমধ্যে বিহার, উড়িষ্যা, গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং কেরলও জানিয়ে দিয়েছে, তারা নতুন আইন অনুযায়ী চড়া হারে জরিমানা নেবে না। অপর কয়েকটি রাজ্যের পরিবহণ সচিবরা নতুন মোটর ভেহিকল আইন নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন।
উল্লেখ্য, বুধবার উত্তরাখণ্ডের মন্ত্রীসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেন্দ্রের আইন অনুযায়ী রাজ্যে চড়া হারে ট্রাফিক ফাইন নেওয়া হবে না। আর তারপরেই মুখ পোড়ার ভয়ে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি আগেভাগে জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সরকার নিজেদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ট্রাফিক ফাইন নিতে পারে।
একইসঙ্গে তিনি রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দিয়েছেন, জরিমানা করে রাজস্ব আদায় করা কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য নয়। মানুষ যাতে ট্রাফিক আইন মানতে বাধ্য হয়, সেজন্যই অত বেশি হারে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।