দলের ৮ কর্মীকে খুন করা হয়েছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে নেতাদেরও। এই অভিযোগে শাসক ওয়াইএসআর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘চলো আত্মাকুর’ প্রতিবাদ কর্মসূচী ও মহামিছিলের ডাক দিয়েছিল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)। সেই আন্দোলন সামাল দিতেই টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুকে গৃহবন্দী করল জগনমোহন রেড্ডির সরকার। এমনকী গৃহবন্দী করা হল চন্দ্রবাবুর ছেলে নাড়া লোকেশ এবং টিডিপি’র একাধিক নেতাকে। এই নিয়ে এখন উত্তপ্ত অন্ধ্রপ্রদেশ। অনেকে বলছেন বিজেপি’র দেখানো পথেই হাঁটছেন জগনমোহন রেড্ডি।
টিডিপি সূত্রে খবর, কর্মীদের হুমকি এবং ৮ কর্মীর খুনের প্রতিবাদে সরকারের বিরুদ্ধে বুধবার একটি বিক্ষোভ আন্দোলনের আয়োজন করে টিডিপি। সেই আন্দোলন রুখে দিতে এই মারাত্মক গ্রেফতারের রাস্তা নিল জগনমোহন সরকার। গৃহবন্দী করা হয়েছে দেবীনেই অবিনাশ, কেশিনাই নানি এবং ভূমা অখিলপ্রিয়াকে। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে নারাসারাওপেটা, সাত্তেনাপালে, পালান্ডু, এবং গুরাজালায়। সব মিলিয়ে এখন টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে।
কিন্তু চন্দ্রবাবুও থেমে থাকতে রাজি নন।
তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে চন্দ্রবাবু বলেন, ‘গণতন্ত্রের আজ একটি কালো দিন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যে ৮টা পর্যন্ত এই অনৈতিক গ্রেফতারের প্রতিবাদে অনশনে চলবে।’ অন্ধ্রপ্রদেশে ওয়াইএসআর কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই টিডিপি অভিযোগ করে আসছে, রাজ্যে টিডিপি সমর্থকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে সরকারপক্ষ। যার জেরে গত তিন মাসে মৃত্যু হয়েছে ৮ টিডিপি সমর্থকের। এদের অধিকাংশই গুন্টুরের। ওই হামলার জন্য টিডিপি দায়ী করছে রাজ্যের প্রাক্তন স্পিকার শিবপ্রসাদ রাওকেই।
অন্যদিকে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি সুপ্রিমোর গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই চন্দ্রবাবুর বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেন দলীয় সমর্থকরা। যদিও তাদেরকে বাধা দিয়ে আটক করে পুলিশ। এমনকী চন্দ্রবাবু বাড়ি থেকে জোর করে তিনি বেরনোর চেষ্টা করলে মূল ফটকে তালা দিয়ে দেয় পুলিশ। তবে পিছু না হটে চন্দ্রবাবুও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘রাজ্য সরকার মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। আমি সরকারকে সতর্ক করছি, পুলিশকেও সতর্ক করছি। গ্রেফতার করে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। যখন, যেখানে সুযোগ পাব, আত্মাকুর অভিযান শুরু করব।’