বুধবারই নারদ মামলায় দিল্লীতে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে। রেলে-কমিটির সদস্য পদ পাইয়ে দেওয়া ও চাকরির নামে প্রতারণা ও দুর্নীতির মামলায় আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন ধৃত বিজেপি-কর্মী সাদ্দাম আনসারি। আবার এ দিনই সরশুনা থানায় দায়ের ৬০ লক্ষ টাকার প্রতারণা ও দুর্নীতির মামলায় ধৃত সাদ্দাম আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মুকুল। সাদ্দাম গোপন জবানবন্দিতে মুকুলের নাম নিয়ে থাকলে তাঁর চাপ বাড়তে পারে বলে মত আইনজীবীদের।
ইতিমধ্যেই এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন মুকুল। কিন্তু বুধবার শুনানির দিন থাকলেও অ্যাডভোকেট জেনারেল উপস্থিত না থাকায় শুনানি পিছোনোর আবেদন জানায় সরকারপক্ষ। কিন্তু পুলিশ মুকুলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুকুলের আইনজীবীরা।
এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালে মুকুল নিজাম প্যালেসে বাবান ঘোষ, সাদ্দাম আনসারি ও রাহুল সাউ নামে তিন জনের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন। সম্প্রতি বড়বাজারে ৮০ লক্ষ টাকার প্রতারণা ও দুর্নীতির মামলায় নাম জড়ায় মুকুলের। তবে ওই মামলার এফআইআরে নাম নেই মুকুলের। তাঁকে সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কলকাতা পুলিশ।