ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে ভারত। এই ম্যাচ দিয়েই বিরাট কোহলিরা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যাত্রা শুরু করবেন। ভারত অধিনায়ক যথেষ্ট উত্তেজিত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ঘিরে। তিনি বলেছেন, ‘সঠিক সময়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে। খেলা অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক হবে। দিন দিন টেস্ট ম্যাচের গুরুত্ব বাড়ছে। সময় বুঝে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অনেককে বলতে শুনেছি, টেস্ট ক্রিকেট নাকি প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে, গুরুত্ব কমেছে। আমার কিন্তু একবারের জন্য তা মনে হয়নি। বরং গত দু’বছরে প্রতিযোগিতা আরও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।’
টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ভারতের সমস্যা মূলত তিনটে। মিডল অর্ডারে পাঁচ নম্বরে কে? পাঁচ বোলারে খেলা হলে তিন পেসার, দুই স্পিনার কি না আর উইকেটের পিছনে কে।ওপেনার হিসেবে লোকেশ রাহুলের সঙ্গী হবেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। অস্ট্রেলিয়ায় শেষ সিরিজে তাঁর পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো। মেলবোর্নে টেস্ট অভিষেকে করেছিলেন ৭৬ ও ৪২। তিন নম্বরে এই প্রথম কোনও সংশয় ছাড়াই খেলবেন চেতেশ্বর পূজারা। অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের টেস্ট সিরিজ জয়ে যাঁর ভূমিকা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। চারে অবশ্যই অধিনায়ক বিরাট। স্টিভ স্মিথ অ্যাসেজ সিরিজে যে ভাবে প্রথম দুটো টেস্টে খেলেছেন, তাতে র্যাঙ্কিংয়ে উঠে এসেছেন বিরাটের পরেই। ব্যবধান বাড়াতে গেলে বিরাটের ব্যাটে বড় রান দরকার।
প্রশ্ন পাঁচ ও ছয় নম্বর জায়গা নিয়ে। টেস্ট টিমের সহ-অধিনায়ক রাহানে ওখানে খেলার দাবিদার। প্রস্তুতি ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন। কিন্তু দাবিদার রোহিত শর্মা ও হনুমা বিহারিও। রোহিত ডিসেম্বরে শেষবার টেস্ট খেলেন। কিন্তু সেখানে অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি ছিল তাঁর। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভারতীয় এ টিমের হয়ে বেসরকারি টেস্টে রান পেয়েছেন হনুমাও। রাহানের সমস্যা হল, গত দুই বছরে ১৭টা টেস্টে একটাতেও সেঞ্চুরি নেই রাহানের। যা অবশ্যই টিমকে ভাবাচ্ছে। হার্দিক এই সিরিজে নেই বলে বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলানোর কথা ভাবছে ভারত। অবশ্য বিকল্প হল, ছয় নম্বরে ঋষভ বা ঋদ্ধিকে রেখে পাঁচ বোলার খেলানো।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ২৭টি সিরিজে মোটে ৭১টি ম্যাচ হবে। ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে লড়াই করছে। ২০২১ সালের জুনে এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল হবে। বিরাটের মতে, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়ায় প্রত্যেক দলের মধ্যে জেতার তাগিদ বাড়বে। তাই টেস্ট ড্র হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।