বাংলার মানুষজনের কাছে মমতার ‘দিদিকে বলো’ প্রচার খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। মানুষ তাঁদের বিভিন্ন রকম অভাব-অভিযোগ নিয়ে সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে তাঁদের প্রিয় দিদির কাছে। মিলছে তৎক্ষণাৎ সমাধান। এইবার এই সুবিধা রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে পৌঁছে গেল কেরালাতে। বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কেরালা। সেখানে আটকে পড়েছে বহু মানুষ। সেইখানে আটকে পড়া ২০টি বাঙালি পরিবার। তাঁদের উদ্ধারে ত্রাতা হয়ে উঠল ‘দিদিকে বলো’। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বন্যাবিধ্বস্ত কর্ণাটকে
আটকে থাকা ওই ২০টি বাঙালি পরিবারকে করল ওই রাজ্যের প্রশাসন৷ বর্তমানে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দুর্গত পরিবারগুলিকে৷ তাঁদের খাবার ও জলেরও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা অরিন্দম বিটের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বিষয়টি জানতে পারে রাজ্য প্রশাসন৷ ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করে তিনি জানান, জলমগ্ন কর্ণাটকের কারওয়া শহরের কাছে কয়দা টাউনশিপে আটকে রয়েছে ২০টি বাঙালি পরিবার৷ যাঁদের মধ্যে রয়েছে তাঁর দিদি ও জামাইবাবু৷ তাঁদের কাছে নেই পর্যাপ্ত জল ও খাবার৷ বিদ্যুৎ ও টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পরিবারগুলি৷ তাঁদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না কর্ণাটক সরকারের ত্রান৷
সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির অসুবিধার কথা জানতে পেরেই তৎপর হয় রাজ্য সরকার৷ প্রথমেই, এ রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে কর্ণাটক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ দুর্গতদের উদ্ধারে তৎপর হয় কর্ণাটকের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সচিব ও স্থানীয় কমিশনারের দপ্তর৷ সময়ে সময়ে উদ্ধারকার্যের আপডেট জানানো হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে৷ দুর্গতদের লোকেশন ট্র্যাক করে সেখানে পৌঁছে যায় উদ্ধারকারী দল৷ এবং উদ্ধার করা হয় বন্যাবিধ্বস্ত ২০টি বাঙালি পরিবারকে৷