নেতাজি নগরের পর নরেন্দ্রপুর। একই দিনে উদ্ধার আরও এক দম্পতির দেহ। মঙ্গলবার সকালে মধ্যবয়সী ওই দম্পত্তির দেহ উদ্ধার হয় একটি ট্রলি ব্যাগের ভিতর থেকে। নিহত ওই দম্পতির নাম প্রদীপ বিশ্বাস ও আল্পনা বিশ্বাস।
সূত্রের খবর, গত রবিবার ওই দম্পতিকে শেষ দেখা গিয়েছিল। এর পর প্রদীপ বিশ্বাসের ভাই ফোনে না পেয়ে মঙ্গলবার বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসে তিনি দেখেন বাড়ির সদর দরজায় তালা লাগানো রয়েছে। বাড়ির পিছনের একটি ছোট দরজা খোলা রয়েছে। তাতে সন্দেহ হয় তাঁর। এর পর ঘরে ঢুকে দেখেন চাপ চাপ রক্ত পড়ে রয়েছে। বিছানার চাদর রক্ত মাখা। এর পর তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে বাথরুম থেকে নিহত ওই দম্পতির পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। দেহগুলি ট্রলির মধ্য রাখা হয়েছিল। পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করে। ওই দম্পতির ঘরের মধ্যে রক্তমাখা শাবল, কাঠের বাটামও উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে প্রদীপের ভাই জয় ওই বাড়িতে গিয়ে দাদা-বৌদির দেহ প্রথম দেখতে পান, ট্রাভেল ব্যাগের মধ্যে ভরা অবস্থায়। জয় পুলিশকে জানিয়েছেন, রবিবারের পর প্রদীপ-আল্পনার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এলাকার বাসিন্দারাও তাঁদের দেখতে পাননি। যোগাযোগ করতে না পেরে জয় এ দিন ওই বাড়িতে যান। তার পরেই ঘরের বিভিন্ন প্রান্ত রক্তের দাগ চোখে পড়ে। এর পর খুঁজতে গিয়ে দেহ দু’টি দেখতে পান জয়। বাড়ির বাথরুমের মধ্যে রাখা ছিল দেহ ভরা ব্যাগগুলি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বিশ বছর ধরে নরেন্দ্রপুরের সেই বাগান বাড়িতে কেয়ার টেকার হিসাবে থাকতেন ওই দম্পতি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে খুন করে তাঁদের দেহ ব্যাগে ভোরে রাখা হয়েছিল। তবে কেন তাঁদের খুন করা হয়েছিল সে বিষয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।