বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিলেন পাক দলের কোচ মিকি আর্থার। জানালেন, ম্যাঞ্চেস্টারে ভারতের বিরুদ্ধে হারের পরে আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছিলেন তিনি। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়ে ফের লড়াইয়ে ফিরে এসেছেন সরফরাজ আহমেদরা। সংবাদসংস্থা এএফপি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিকি আর্থার বলেছেন, ‘‘গত রবিবার ভারতের কাছে হারের পরে আমি আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছিলাম।’’
২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের মধ্যে তৎকালীন কোচ বব উলমারের রহস্যমৃত্যু নিয়ে আলোড়িত হয়েছিল বিশ্বক্রিকেট। প্রবল অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল পাক ক্রিকেটের অন্দরেও। ঘটনাচক্রে উলমারের মতো মিকি আর্থারও দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ। ফলে পাক কোচের এমনই বিতর্কিত মন্তব্যে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তিনিও কি এখন প্রয়াত পূর্বসূরির মতো প্রবল চাপের মধ্যেই রয়েছেন? সেই বিষয়ে কোনও কিছু স্পষ্ট করে বলতে চাননি আর্থার। বরং তাঁর মন্তব্যের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সরফরাজদের কোচ বলেছেন, ‘‘একটা ম্যাচের হারের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আবার একটা ম্যাচে হার। বিশ্বকাপের মতো আসরে সমস্ত দলকেই প্রচণ্ড চাপের মধ্যে থাকতে হয়। সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সমর্থকদের প্রত্যাশা—এত কিছুর মধ্যে নিজের অস্তিত্ব বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। ভারতের বিরুদ্ধে হারের পরে মানসিক ভাবে এতটাই ভেঙে পড়েছিলাম যে, মনে হয়েছিল আত্মহত্যা করি।’’
এ দিকে, ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেই বাবর আজম জানিয়েছিলেন, তিনি বিরাট কোহালির ভক্ত। নিয়মিত ভারতীয় অধিনায়কের ব্যাটিং দেখেন। কিন্তু তাঁর ব্যাটিংয়ে কোহালির সঙ্গে কোনও মিল খুঁজে পাননি শোয়েব আখতার। তাই তরুণ ব্যাটসম্যানকে শোয়েবের নির্দেশ, ‘‘কোহালি যখন তোমার প্রেরণা, তখন ওর মতোই ব্যাটিং করতে শেখো।’’ পাক অধিনায়কও মনে করছেন, এই জায়গা থেকেও শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তাঁদের সামনে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের দলের ক্রিকেটারেরা বিশ্বাস করে যে, বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব। হয়তো শুরুটা আমাদের ভাল হয়নি। তবে সেই অস্বস্তিকর পরিবেশ থেকে দল অনেকটা বেরিয়েও এসেছে। আমরা বাকি ম্যাচগুলিতেও ভাল খেলব।’’
তবে পাক সংবাদমাধ্যমের খবর, আর্থারের ভূমিকায় খুশি নন প্রাক্তন ক্রিকেটাররা থেকে পাক ক্রিকেট বোর্ডেরও একাংশ। এমনও শোনা গিয়েছে, বিশ্বকাপ শেষ হলেই আর্থারকে সরিয়ে দেওয়া হবে।