রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে আরও কড়া হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও গুন্ডামি বরদাস্ত করবে না সরকার। সোমবার নবান্নে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সব দফতরের মন্ত্রী ও সচিবদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দফতরগুলির কাজের খতিয়ানও নেন তিনি৷ তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারের কাজের পর্যালোচনার কিছু অংশ তুলে ধরেন মমতা। কেন্দ্রকে তুলোধনা করে মমতা বলেন, ‘গত ৬ মাসে রাজ্যে কয়লা সরবরাহ করা হয়নি৷ রাজ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন চূড়ান্ত ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে’৷ মমতার অভিযোগ, ‘বাকি সব রাজ্যকে কয়লা দেওয়া হলেও, বাংলা বাদ থেকে যাচ্ছে’৷
এদিন মমতা বলেন, ‘চলতি বছরে ৫৬ হাজার কোটি টাকা শোধ করতে হবে রাজ্যকে৷ জিএসটি বাবদ আয় বেড়েছে ২৩ শতাংশ৷ সামাজিক খাতে সরকারি ব্যয় বেড়েছে’। মমতার মতে, নীতি আয়োগের নামে রাজ্যের নানা ইস্যুতে নাক গলাচ্ছে কেন্দ্র৷ যা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না৷ নীতি আয়োগের বৈঠকে গিয়ে লাভ নেই বলেই তিনি সেই বৈঠক বাতিল করেছেন বলে জানান মমতা৷ শুধু ভাষণ শুনতে দিল্লী তিনি যাবেন না বলে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন৷ তবে এরই সঙ্গে তাঁর মত যোজনা কমিশন তৈরি হলেই তিনি দিল্লী যাবেন, সেই বৈঠকে যোগ দেবেন৷ এদিন মমতা বলেন, ‘৮ বছরে কৃষিক্ষেত্রের পিছনে সরকারি ব্যয় বেড়েছে ৫ গুণ৷ পরিকল্পনা খাতে ৮গুণ খরচ বেড়েছে৷ ৯ গুণ খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে সামাজিক খাতে৷ ১০০ দিনের কাজে যেন অবহেলা না হয়, সেদিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে’৷
নবান্নে এদিন মমতা বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য তিন মাস কাজ পিছিয়ে গিয়েছে রাজ্যে৷ সেই সব কাজে গতি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দফতরকে’৷ তবে পে কমিশনের রিপোর্ট কেন জমা দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১২৪ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে৷ উন্নয়ন বন্ধ করে পে কমিশন করা হবে না৷ যদি পে কমিশন রিপোর্ট দেয়, তাহলে অবশ্যই ভাবনা চিন্তা করবে রাজ্য সরকার৷ কিন্তু কোনও প্রকল্প বন্ধ করে পে কমিশন করা হবে না’।