যতই হোক প্রস্তুতি ম্যাচ৷ তবুও তো বিশ্বকাপের শুরু৷ আর শুরুতেই হোঁচট খেল ভারত৷ গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে পরাজিত হল ভারত৷
টস হওয়ার আগে লন্ডনের আকাশ বেশ মেঘলা ছিল। পরে অবশ্য পরিষ্কার হয়ে যায়। ওভালের পিচে সবুজ আভাও ছিল। বোঝা যাচ্ছিল, শুরুর দিকে পেসাররা সাহায্য পাবে। তাও কেন ব্যাটিং নিল কোহলি? ভারত অধিনায়ক ব্যাখ্যা দিল, প্রস্তুতি ম্যাচ বলে প্রথমে ব্যাট করার চ্যালেঞ্জটা নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচ হোক কী আসল ম্যাচ, শুরু থেকেই ছন্দটা তৈরি করা উচিত। এই যে প্রথমেই ভারত এ রকম একটা ধাক্কা খেল, সেটা সমস্যা তৈরি করতে পারে।
পাশাপাশি নিউজ়িল্যান্ড কিন্তু বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করার আগে আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেল। এ বারের বিশ্বকাপ যে-হেতু রাউন্ড রবিন লিগ, তাই এই নিউজ়িল্যান্ডকেও কিন্তু খেলতে হবে কোহলিদের।
প্রস্তুতি ম্যাচে ধোনি কিপিং করল না। ওর ব্যাটিং দেখে পরিষ্কার, এখন আর ও ২০১১ সালের ধোনি নেই। রাহুল যতই আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ভাল খেলুক, জাতীয় দলে এখনও নিজের জায়গা পাকা করতে পারল না। রোহিতকে দেখেও মনে হল, আইপিএল-মোডে আছে। ঘরের বাইরে ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ বোর্ড লাগানো। ঘুম ভাঙেনি। পা সে রকম নড়ছে না। একই কথা খাটে শিখর ধওয়ন সম্পর্কেও। যে কারণে শুরুর দিকে নিউজ়িল্যান্ড পেসারদের সুইং আর অফ দ্য পিচ মুভমেন্ট সামলাতে পারল না ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সম্পর্কেও ভাল হোমওয়ার্ক করে এসেছিল নিউজ়িল্যান্ড। ঠিক জায়গায় বলটা রেখে গেল। ধওয়নকে বাইরে বাইরে খেলাল৷ কোহলিকে মারার জায়গা দিল না৷
আরও একটা ব্যাপার আবারও পরিষ্কার হয়ে গেল। ব্যাটিংয়ে প্রথম তিন জন ব্যর্থ হলে, বেশির ভাগ ম্যাচেই কিন্তু ভারতকে ভুগতে হয়। এ দিনও হল। ভারত ১৭৯ রানে শেষ। নিউজ়িল্যান্ড জিতল ছয় উইকেটে। এই ম্যাচে পুরো ফিট না থাকার জন্য কেদার যাদব এবং বিজয় শঙ্কর খেলেনি। কিন্তু বাকিরা তো ছিল। কে এল রাহুল চার নম্বরে এল। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ছিল, দীনেশ কার্তিক ছিল, হার্দিক পাণ্ড্য ছিল, রবীন্দ্র জাডেজা ছিল। প্রস্তুতি ম্যাচে তেরো জন খেলতে পারে বলে ভারত হার্দিক, জাডেজা— দু’জনকেই খেলায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও মনে হচ্ছিল ব্যাটিংয়ে সেই গভীরতা নেই। ঋষভ পন্থকে না নেওয়াটা কিন্তু ভোগাতে পারে ভারতকে। রাহুলদের কিন্তু এ বার রান করতে হবে।
যদিও প্রস্তুতি ম্যাচ৷ হাতে আরও বেশ খানিকটা সময়৷ তাই আশা করা যায় নিজেদের ভুল ত্রুটি সামলে নেবে ভারত, কারণ এই বিশ্বকাপে ‘মোস্ট ফেভারিট’ হয়ে ভারতই নামছে৷