এবার আপনার হেঁশেলের এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক করছে কিনা জানিয়ে দেবে একটি ছোট যন্ত্র। আদতে এটি একটি সেন্সর। রান্নাঘর থেকে ছড়িয়ে পড়া বিপদ আটকাবে এটি। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এটি তৈরি করেছে।
বাণিজ্যিকভাবে কলকাতার একটি সংস্থা এই যন্ত্রটিকে বাজারে নিয়ে আসতে চলেছে। দাম থাকবে সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে। যন্ত্রটির কার্যকারিতা নিয়ে বলতে গিয়ে আইআইইএসটি–র সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ফর গ্রিন এনার্জি অ্যান্ড সেন্সর সিস্টেম–এর অধ্যাপক হিরণ্ময় সাহা বলেন, “অনেক সময় দেখা যায় হালকা গ্যাস বেরোচ্ছে। অথচ সেইভাবে গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্ত যদি ১০ লক্ষ ভাগের মধ্যে ১০০ ভাগ এলপিজি গ্যাসও বাতাসে থাকে, তা হলেও এই যন্ত্র তা বুঝতে পেরে গ্রাহককে জানিয়ে দেবে”।
রান্নাঘরের যে কোনও জায়গায় এটি লাগানো যাবে। সেন্সরটি আয়তনে ৮ ইঞ্চি লম্বা এবং ৬ ইঞ্চি চওড়া। আইআইইএসটি এই যন্ত্রটি ছাড়াও বানিয়েছে আরও একটি যন্ত্র। যার সাহায্যে ম্যানহোলের নিচে কোনও বিষাক্ত গ্যাস জমে আছে কিনা বা থাকলে সেটি বিপদসীমার ওপরে আছে কিনা সে সম্পর্কে আগাম খবর দেবে। এখনও পর্যন্ত কোনও যন্ত্র আবিষ্কার হয়নি যার সাহায্যে মাটির ওপর থেকে এই গ্যাসের অস্তিত্ব বোঝা যায়। কিন্তু এই যন্ত্রের একটি নল ম্যানহোলের মুখ থেকে নিচে প্রবেশ করালে তা বলে দেবে সেখানে কী ধরনের গ্যাস জমে আছে। যদি এই সঞ্চিত গ্যাস বিপদসীমার ওপরে থাকে তবে যন্ত্রে বিপদ সঙ্কেত বাজবে এবং লাল আলো জ্বলে উঠবে।
তবে এলপিজি গ্যাসের ‘সেন্সর’–এর ক্ষেত্রে একটি সতর্কতা আছে। কেনার সময় যন্ত্রের সঙ্গে গ্রাহকের মোবাইল ফোন নম্বরটির ‘পরিচয়’ ঘটিয়ে দেওয়া হবে। ফলে আগামী দিনে এই যন্ত্র থেকে যদি তিনি খবর পেতে চান তবে ফোন নম্বর বদলাতে পারবেন না। এই যন্ত্র তৈরিতে আমেরিকার বিজ্ঞানী ড. অরূপ ভট্টাচার্য উৎসাহ দিয়েছেন, এমনটাই জানিয়েছেন হিরণ্ময়।