শীতকাল বলতেই প্রথম যে কথাটা মনে আসে তা হল পিকনিক। আগে পিকনিক মানে ছিল পাড়ায় কোনও মাঠে দলবল বেঁধে একসাথে রান্না-খাওয়া-হইচই। তবে দিন পাল্টেছে। এখন পিকনিক মানেই দূরে কোথাও যাওয়াটা আবশ্যিক। কিন্তু তার জন্য চাই এমন কিছু জায়গার সন্ধান যেখানে গিয়ে মজাও হবে অথচ পকেটে টানও পড়বে না।
রইল এমনই কিছু জায়গার সন্ধান—
১) গাদিয়াড়া– হাওড়া জেলার অন্যতম জনপ্রিয় পিকনিক স্পট৷ কলকাতা থেকে দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিমি৷ ধর্মতলা থেকে বাসে মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা৷ সব থেকে বড় কথা, হুগলি নদীর তীরে বসে পিকনিক করার সুযোগ৷ রাজ্য সরকারের পর্যটন উন্নয়ন নিগমের রূপনারায়ণ ট্যুরিস্ট লজ রয়েছে থাকার জন্য৷ ফোন– ৯৭৩২৫১০০৭৬৷
২) মাইথন– পিকনিকের পাশাপাশি দু’-এক দিনের ছুটি নিয়ে দামোদরের তীরে মাইথনের ঘুরে আসতে পারেন৷ কাছেই রয়েছে কল্যাণেশ্বরী মন্দির৷ নানারকমের গাছপালায় ঘেরা এক অপূর্ব জায়গা৷ আসানসোল বা বরাকর থেকে মাত্র আট কিমি দূরে মাইথন৷ রয়েছে রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের মাইথন ট্যুরিস্ট লজ (ফোন– ৯৭৩২১০০৯৪০) এছাড়াও যুব আবাস, পিডবলুডি বাংলো, হোটেল শান্তিনিবাস ইত্যাদি রয়েছে৷
৩) কল্যাণী পিকনিক গার্ডেন – কল্যাণী সীমান্ত স্টেশন থেকে কাছেই এই গার্ডেন৷ প্রবেশমূল্য রয়েছে৷ পিকনিক করতে চাইলে আগে থেকে কথা বলে নিতে হবে৷ ফোন– ৯৩৩৯৮৭৬৮২৩৷
৪) পানিত্রাস– এই স্পটের সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য, এখানেই রয়েছে কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি৷ কাছেই রূপনারায়ণ৷ নদীর কাছে বিশাল মাঠ বা নদীর তীরে পিকনিক হয়৷ কাছেপিঠে অনেক গেস্ট হাউস রয়েছে৷ আগে থেকে বুক করে নিতে হবে৷ কোলাঘাটের আগের স্টেশন দেউলটি৷ এখান থেকে অটো বা গাড়িতে পানিত্রাস যেতে পারবেন৷ প্রসঙ্গত বলতে হয়, কোলাঘাটও একটা ভাল পিকনিক স্পট৷ নদীর ধারে মন খুলে ঘোরা যায়৷
৬) গড় মান্দারণ– কামারপুকুর থেকে ঘাটাল যাওয়ার পথে আড়াই থেকে তিন কিমি গেলেই গড় মান্দারণ৷ বিশাল এলাকা জুড়ে ঘন গাছের সারিতে ঢাকা এক মনোরম পিকনিক স্পট৷ ফোন– ০৩২১১-২৪৪৫৭০৷
৭) দুর্গাপুর ব্যারেজ– দামোদর নদের ধারে গাছের ছায়ায় পিকনিকের পক্ষে আদর্শ স্থান৷ খুব কাছেই দুর্গাপুর ব্যারেজ, দামোদরের অন্য তীরে বাঁকুড়া জেলা, দুর্গাপুরে আছে রাজ্য সরকারের পর্যটন উন্নয়ন নিগমের হোটেল৷ ফোন– ৯৭৩২১০০৯৩০৷
৮) গড়চুমুক– হাওড়ার শ্যামপুর এলাকায় একটি অন্যতম জনপ্রিয় স্পট৷ একটু দূরেই এশিয়ার বৃহত্তম গেটের অন্যতম আটান্ন গেট৷ সামনেই দামোদর নদ৷ আছে জেলা পরিষদ পরিচালিত হলিডে হোম৷ ফোন– ০৩৩-২৬৩৮৪৬৩৩৷
৯) বাকসি– হাওড়ার বাগনান স্টেশন থেকে বাসে খানিকটা পথ গেলেই বাকসি৷ বাগনান থেকে বাস আছে৷ নদীর ধারে পিকনিক করা যায়৷ তবে, আগে থেকে যোগাযোগ করে নিলে সমস্যা হবে না।
১০) নিউ দিঘা– মেছেদা থেকে দীঘাগামী ট্রেনে দীঘা, সেখান থেকে অটো করে প্রায় দশ মিনিটের পথ৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে এখানে গড়ে উঠেছে সমুদ্রের ধারে সুন্দর পিকনিক স্পট।
ব্যস! সব তথ্য এবার হাতের মুঠোয়। তাহলে ব্যাগ গুছিয়ে বেড়িয়ে পড়া যেতেই পারে পিকনিকের উদ্দেশ্যে।