বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা দিল নির্বাচন কমিশন। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার জন্য শনিবার ডাকা সাংবাদিক বৈঠকের সময় আচমকা পিছিয়ে দেওয়ায় এমনই অভিযোগ আনলো কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি।
ঠিক ছিল, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ৫ রাজ্যে বিধানসভার ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সেই সাংবাদিক সম্মেলন কয়েকঘন্টা পিছিয়ে করা হয় দুপুর তিনটে নাগাদ। কারণ, এদিন বেলা ১টায় রাজস্থানের আজমেড়ে জনসভা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াকে কিছু ‘মিথ্যা প্রতিশ্রুতি’ বিলোনোর সুযোগ করে দিতেই ইচ্ছে করেই ভোটের দিন ঘোষণার সময় পিছিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ খারিজ করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও পি রাওয়াত বলেন, ‘তেলেঙ্গানায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলা ও প্রযুক্তিগত কিছু কারণেই ওই বিলম্ব।’
কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার অভিযোগ, ‘আগামী ভোটে দলের ভরাডুবি নিশ্চিত বুঝে এখন মোদীসাহেব ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা ওই রাজ্যের আমজনতার মন জয়ের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। পেট্রপণ্য, রান্নার গ্যাস, কৃষির যাবতীয় সরঞ্জাম সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রের মোদী এবং বিভিন্ন বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ এখন তুঙ্গে। এই অবস্থায় ওঁদের একমাত্র ভরসা ‘জুমলা’ বা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। তারই অঙ্গ হিসেবে এদিন রাজস্থানের সভার মাধ্যমে মোদীসাহেবকে আরও কিছু মিথ্যা প্রতিশ্রুতির সুযোগ করে দিতে কমিশন নির্লজ্জ ভূমিকা পালন করল’।