কুকথার ফোয়ারা ছোটালেন প্রাক্তণ সিপিএম সাংসদ হান্নান মোল্লা। বীরভূমের নলহাটিতে দলের লং মার্চের উদ্বোধনে এসে নাম না করে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে উগরে দিলেন কুকথার স্রোত। হান্নান বলেন, ‘হিটলার কবরে গিয়েছে কিনা তার পাত্তা নেই। এখনকার হিটলারেরা কবরে যাবে, না শ্মশানে, না রাস্তার কুকুর ওদের মৃতদেহ খুবলে খাবে, সেটা ভবিষ্যৎ বলবে’।
অতীতে অনিল বিশ্বাস, বিনয় কোঙার থেকে অনিল বসু, গৌতম দেব – অনেক বাম নেতাই রাজনৈতিক আক্রমণ শানাতে গিয়ে নানাবিধ অশালীন শব্দমালা উচ্চারণ করেছেন। অনিল বিশ্বাসের মতো কেউ কেউ প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশও করেছেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক শিষ্টাচার আবার ফিরে এসেছিল বলেই মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু ইদানীং রাজনীতিতে আবার কুকথার স্রোত ফিরে এসেছে। কখনও বিজেপি-র অভিনেতা, রাজনীতিবিদ জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, কখনও বা প্রাক্তণ সিপিএম সাংসদ হান্নান মোল্লা।নোংরা শব্দের ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন।
দলের লং মার্চের উদ্বোধনে সারা ভারত কৃষক সভার সম্পাদক হান্নান মোল্লা নলহাটির লোহাপুরে আসেন। সেখানেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে অনুব্রতর নাম না করে হান্নান বলেন, ‘হারামের খেয়ে খেয়ে শুয়োরের মতো চেহারা হয়েছে। এই সব গুণ্ডারা অত্যাচার করছে আপনাদের ওপর। এদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুললে এরা নেড়ি কুত্তার মতো পালাবে। এঁদের সামনে কৃষক খেতমজুর, যুব, ছাত্র সবাইকে প্রতিরোধ গড়তে হবে। লড়াই করে এঁদের ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে’।
এখানেই না থেমে হান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ও তো হারামের খেয়ে বিশেষ প্রাণির মতো মোটা হয়েছে। আগের নিজের স্বাস্থ্য কমাক, তারপর অন্যের স্বাস্থ্য কমাবার উপদেশ দিক। নির্বাচন করতে না দিয়ে জেতা মানে কাপুরুষের জেতা, নেড়ি কুত্তার জেতা’।
এসব শুনে পাল্টা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলও। তাঁর কথায়, ‘ক্ষমতা থাকে তো, সিপিএমের ওই নেতা পরের বার জেলায় এসে মিটিং করে দেখাক। নলহাটিতে যদি মিটিং করে ২০ কিলোমিটার রাস্তায় ছুটিয়ে মারবে এলাকার মানুষ’।