রেকর্ড সংখ্যক ৭৭ বার বিদেশ সফরে গিয়ে ভারতবর্ষের যে কোন প্রধানমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই পিছনে ফেলে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
যদিও মোদীর বিদেশ সফর যত বাড়ছে ভারতবর্ষে বিদেশি লগ্নির পরিমান ততই কমছে। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে- মোদীর রেকর্ড সংখ্যক বিদেশ সফরে দেশের আদৌ কি কোন কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক লাভ হচ্ছে?
এ প্রশ্নও উঠছে যে প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে কাদের স্বার্থ রক্ষা করছেন?
বিদেশ সফরগুলিতে যে চুক্তি হচ্ছে তা থেকেই এই প্রশ্ন উঠে আসছে।
রাশিয়ায় মোদীর সফরের সময় রিলায়েন্স ৬০০ কোটি টাকার অস্ত্র চুক্তি করেছে পুতিন সরকারের সাথে।
ফ্রান্সে মোদীর উপস্থিতিতে রিলায়েন্স-রাফায়েল চুক্তি হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় আদানী গ্রুপ কয়লাখনি প্রকল্পের বরাত পায় মোদী জমানাতেই।
বাংলাদেশে ভারত সরকার অনেক টাকা বিনিয়োগ করেছে। আর আদানী-আম্বানিরা বাগিয়ে নিয়েছে একাধিক প্রকল্পের বরাত।
ইংল্যান্ডে ১৫,০০০ কোটির যুদ্ধ জাহাজ মেরামতির বরাত পেয়েছে সেই আম্বানির রিলায়েন্স।
ইজরায়েলে অসামরিক বিমান প্রকল্প চুক্তি বাগিয়ে নিয়েছে আদানী গোষ্ঠী।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে নরেন্দ্র মোদী কি দেশের প্রধানমন্ত্রী নাকি আম্বানি-আদানী গোষ্ঠীর ব্যবসা সম্প্রসারণ আধিকারিক?