২০২০-তে পুরসভা ভোট। আর তারপরই ২০২১-এ বিধানসভা ভোট। এই ভোট নিয়ে বিজেপি যখন হুঙ্কার দিচ্ছে বাংলা কেড়ে নেবে, সেই মুহূর্তে মাস্টারস্টোক খেলে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন উপনির্বাচন কেন্দ্রে জয় ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। আর এই হারের কারণ খুঁজতে বসে দিশেহারা গেরুয়া শিবির। চলছে দোষারোপের পালা। তার সঙ্গে চলছে ‘অজুহাত’-এর বন্যা। কেউ বলছে ‘ইভিএম কারচুপি’ তো কেউ আবার ‘রিগিং’-এর গাঁওনা গাইছেন। এইবার নিজের গড় বাঁচাতে ব্যর্থ দিলীপের গলায় শোনা গেল এইরকমই সুর। তাল কাটছে ছন্দে।
উপনির্বাচনে হারের পর শনিবার আত্মসমালোচনা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা কম। জেতার পর আসন ধরে রাখতে পারি না। কোথায় ভুল ত্রুটি আছে দেখতে হবে। পাশাপাশি এদিন রিগিং-এর কথাও বলেন দিলীপ। একইসঙ্গে এদিন আবারও, দিলীপ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আক্রমন শানিয়েছেন। দিলীপ অভিযোগ করেছেন, এন আরসি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা ভয় দেখিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মানুষ কে বোঝাবো আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, তারপর এন আর সি। প্রত্যেক হিন্দু শরনার্থী নাগরিকত্ব পাবেও এদিন আবারও স্পষ্ট জানিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ।
তিন কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বড় চমক নিঃসন্দেহেই খড়গপুর সদর। এই কেন্দ্রে নির্বাচন ছিল বিজেপির প্রেস্টিজ ফাইট। ২০১৬-তে এই আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রয়াত জ্ঞানসিং সোহনপালকে ৬৩০৯ ভোটে হারিয়ে জিতেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। চলতি বছরের লোকসভা ভোটেও মেদিনীপুর কেন্দ্রে জিতে সাংসদ হন তিনি। ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত খগড়পুর সদরে ৪৫ হাজারের বেশি ভোটে লিড পান দিলীপ ঘোষ। তবে সেই কেন্দ্রেই ভরাডুবি। আর তাতেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এই গেরুয়া নেতা। এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।