নাগরিকপঞ্জী তৈরি করতে গিয়ে হয়েছে বিপুল টাকার দুর্নীতি। খোদ আসাম সরকারই স্বীকার করল সেকথা।
আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলেন, নাগরিকপঞ্জী তৈরি করতে গিয়ে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। ক্যাগের রিপোর্টে তা ধরা পড়েছে। আগামী সপ্তাহেই এনিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ করবে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, ২০১৫-২০১৯ পর্যন্ত নাগরিকপঞ্জীর আপডেট হয়েছে। এর জন্য খরচ হয়েছে ১৬০০ কোটি টাকা। বিশ্বশর্মা সংবাদমাধ্যমে বলেন, গত তিন বছরে নাগরিকপঞ্জীর আপডেট করতে গিয়ে বিপুল টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ১৬ দফা বেনিয়মের কথা উল্লেখ করেছে অডিটর জেনারেল ।
এবছর জুলাইয়ে এনআরসি-র প্রথম খসড়ায় বাদ পড়েছিল ৪০ লক্ষ নাগরিকের নাম। ফের নাগরিকত্ব প্রমাণে নথি জমা দেন তাঁরা। গত আগস্টে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হতে দেখা যায়, ৪০ লক্ষ থেকে এক ধাক্কায় তালিকা ছুটের নাম নেমে আসে ১৯ লক্ষে। যদিও এই চূড়ান্ত তালিকা অসম্পূর্ণ বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা। বিজেপির একাংশও মনে করছে, প্রত্যাশিত তালিকা প্রকাশ করতে পারেননি এনআরসি কর্তৃপক্ষ।
কেন্দ্র জানিয়েছে, এনআরসি থেকে বাদ পড়া ১৯ লক্ষ মানুষকে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য দ্বারস্থ হতে হবে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে। যেখানে তাঁরা ১২০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হলে হাইকোর্ট পরে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করতে পারবেন তাঁরা। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের সব রকমের আইনি সহায়তা দেবে কেন্দ্র।