মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নির্দেশিকা অনুযায়ী রেলের প্রকল্পে জমিদাতাদের রেলে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় সরকার সেই নীতি-নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ রেলের কোনও প্রকল্পে জমি চলে গেলেও জমিদাতারা আর সরকারি চাকরি পাবেন না। রেল বোর্ডের তরফে এই নতুন ব্যবস্থার কথা জানানো হয়েছে।
কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত নিল রেল? রেলকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, জমির বদলে চাকরি দেওয়ার নীতি মেনে চলার বাধ্যতা থাকায় সারা দেশেই বহু প্রকল্পের কাজ থমকে গিয়েছে। চাকরি দেওয়ার নীতি প্রত্যাহার করার ফলে ওই জটিলতা কাটবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসনের অধিকার সংক্রান্ত আইনের দ্বিতীয় তফসিলের চার নম্বর অনুচ্ছেদ খতিয়ে দেখে রেল মন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জমি-মালিক বা তাঁর পরিবারের কাউকে চাকরি না-দিলেও ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্ত থাকছে। নিজেদের কোনও প্রকল্প রূপায়ণে রেল কারও জমি অধিগ্রহণ করলে এ বার সেই জমির উপরে নির্ভরশীল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ বাবদ এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা দেবে। অধিগৃহীত জমির মালিকানা একাধিক জনের হলে ক্ষতিপূরণের টাকা আনুপাতিক হারে সকলের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে।
জমি-জটিলতায় আটকেপড়া প্রকল্প আছে পশ্চিমবঙ্গেও। প্রকল্প অনুমোদিত হওয়ার পরেও জমি-জটে ক্যানিং থেকে ঝড়খালির মধ্যে রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি।