ভারতে প্রতি সাতে এক দম্পতি সন্তানহীনতায় ভোগেন। সন্তানের স্বাদ পেতে ধনীদের পক্ষে নামী-দামি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব হলেও, গরিব ও নিম্নবিত্তদের ক্ষেত্রে সন্তান লাভের চেষ্টায় সঠিক এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা সম্ভব হয় না৷ তাই নিখরচায় নিঃসন্তান দম্পতিদের মুখে হাসি ফোটাতে রাজ্যের প্রথম সরকারি টেস্ট টিউব বেবি সেন্টার কেন্দ্র হতে চলেছে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ২০২০ সালের গোড়াতেই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে আশাবাদী হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্য সরকার এক কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করে ফেলেছে। পরিকাঠামোগত ভাবে কিছু কাজ শেষ হলেই আগামী দু’মাসের মধ্যে এনআরআসের আউটডোর বিল্ডিংয়ের চারতলায় শুরু হতে চলেছে আইভিএফ কেন্দ্রের কাজ। ৯০ শতাংশ যন্ত্র চলে এসেছে। পূর্ত দফতরের কাজও প্রায় শেষের দিকে। এমব্রায়োলজিস্ট এবং কিছু পদে লোক নিয়োগ বাকি।
এখানকার রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডাঃ নির্মল মাজি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসাহ আমাদের সব কাজে আশীর্বাদের মতো। আশা করছি, কেন্দ্রটি চালু হলে বহু গরিব, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত নিঃসন্তান দম্পতি বিনা খরচে সন্তানলাভের তৃপ্তি অনুভব করবেন।
২০১৪ সালে বিশিষ্ট সুপ্রজননবিদ ডাঃ গৌতম খাস্তগীরের সঙ্গে পিপিপি মডেলে পিজি হাসপাতালে রাজ্যে প্রথম কম খরচে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসাকেন্দ্র চালু করতে চেয়েছিল সরকার। নানা কারণে তা সফল হয়নি। এবার সফল হচ্ছে সেই উদ্যোগ।
অধ্যাপক ডাঃ সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় জানান, রাজ্য সরকারের তরফে ক্যান্সার, হার্টের রোগী, অর্থোপেডিক রোগীদের লক্ষ লক্ষ টাকার ওষুধ বিনা পয়সায় দেওয়া হচ্ছে। তাহলে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় নয় কেন? কেন্দ্রটি চালু হলে বহু গরিব, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত নিঃসন্তান দম্পতি বিনা খরচে সন্তানলাভ করতে পারবেন।