মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন নিয়ে ‘নাটক’-এর মধ্যেই রাজ্যে শুরু আরেক নাটক। সেই নাটকের কেন্দ্রস্থল নদিয়ার ক্রীমপুর। গতকালই এই কেন্দ্রে ছিল বিধানসভা উপনির্বাচন। সেইখানেই দিনভর চলল জয়প্রকাশ মজুমদারের জঙ্গলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা। সেই ঘটনা নিয়েই এবার মঞ্চে নামলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর মতে, সহনাভূতি আদায়ের জন্য বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার পরিকল্পনা করে এমনটা করেছেন।
করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে ঘিরে চলা নাটককে কটাক্ষ করে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘সে নিজের দোষে পড়ে গেছে, চলতে জানে না। সে কী করে পা ফেলতে হয় জানে না। ক্যান্ডিডেট হয়েছে বিজেপি’র। সে হাঁটতে জানে না, পড়ে গিয়েছে। তার জন্য কি তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী?’ এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ ভরা প্রশ্ন ছিল, লাথিটা কার, দেখতে হবে। উপনির্বাচনের ফল প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে অনুব্রত বলেন, জেতা নিয়ে দরকার। তাঁরাই জিতবেন। যে একটা ভোটে জিতবে, সেই সিকান্দার। মন্তব্য করেছেন অনুব্রত।
গতকাল একইরকম প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন নদিয়ার তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর দাবি, এই ঘটনা পরিকল্পিত ভাবেই ঘটানো হয়েছে। রাজীবের দাবি, ‘টিভি-ক্যামেরা ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি। এখানে বিজেপির অনেকেই জয়প্রকাশবাবুকে প্রার্থী হিসেবে মানতে চাননি। ওদের দলের মধ্যে কোন্দল আছে। যা প্রকট হয়েছে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে মানুষের সহানুভূতি কুড়োতে এখন পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ভোটের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষ এর জবাব দেবেন।’ তৃণমূল এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, আমাদের কেউ এই ঘটনায় জড়িত নেই। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। ভোট বাক্সে তাঁর প্রমাণ পাওয়া যাবে।