আগামীকাল বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে ফডনবিশ সরকারকে। গোপন ব্যালটে আস্থা ভোট হলে চলবে না। করতে হবে লাইভ ফ্লোর টেস্ট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে যেমন প্রবল ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি, উল্টোদিকে তেমন খুশির হাওয়া বইছে বিরোধী শিবিরে। কারণ সুপ্রিম রায়ে কার্যত জয়ীই হয়েছে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট।
সুপ্রিম কোর্টের রায়কে এদিন স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, ‘আস্থাভোটে আমরাই জিতব।’ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রশংসা করে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার বলেন, বিচারপতিরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে উর্ধ্বে তুলে ধরেছেন। আবার কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার বক্তব্য, ‘শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত অবৈধ দেবেন্দ্র ফডনবিশ ও অজিত পাওয়ারের সরকারের গালে চড় কষিয়েছে। তাঁরা জনাদেশকে হাইজ্যাক করতে চেয়েছিলেন।’
এনসিপি নেতা নবাব মালিকও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বিজেপির খেলা শেষ।’ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। কয়েক দিনের মধ্যেই রাজ্যে শপথ নেবে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের জোট সরকার। তাঁর মতে, ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে মঙ্গলবারের দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দেশের গণতন্ত্রে এটি একটি মাইলস্টোন রায়।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে জানায়, মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফডনবিশ সরকারকে গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। বিধানসভায় আস্থাভোট নেবেন প্রোটেম স্পিকার। রাজ্যপাল তাঁকে নিয়োগ করবেন। এ নিয়ে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বাজি রেখে বলেন, শীর্ষ আদালত আমাদের ৩০ ঘন্টা সময় দিয়েছে কিন্তু আমরা ৩০ মিনিটের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে দেব৷
প্রসঙ্গত, ২৮৮ আসনবিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় গরিষ্ঠতা পেতে হলে চাই ১৪৫ জন বিধায়ক। সোমবার সন্ধ্যায় শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস ১৬২ জন বিধায়ককে মুম্বইয়ের এক হোটেলে হাজির করে। আজ মঙ্গলবার বিচারপতিরা বলেন, ‘যদি বিধানসভায় আস্থাভোট নিতে দেরি হয়, তাহলে বিধায়ক কেনাবেচার সম্ভাবনা থাকে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে রক্ষা করা আদালতের দায়িত্ব। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে আস্থাভোট নিলেই গণতন্ত্র রক্ষা পেতে পারে।’