১৭০ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাদের সঙ্গে- আদালতে বিজেপির করা এই দাবির আদৌ কোনও ভিত্তি নেই। বরং তাদের কাছেই রয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন। তাই বিরোধী জোটকেই সরকার গঠনের সুযোগ করে দেওয়া হোক। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীন বিধায়কদের সমর্থনের চিঠি দিয়ে রাজ্যপালের কাছে এই দাবি জানাল শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট।
আস্থাভোট নিয়ে আগামী কাল মঙ্গলবার রায় শোনাবে সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালতে যখন শুনানি চলছে, সে সময়ই রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারীর সঙ্গে দেখা করতে রাজভবন পৌঁছন তিন দলের প্রতিনিধিরা। মোট ১৬২ জন বিধায়কের সই-সমেত চিঠি জমা দেন তাঁরা। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাতারাতি সরকার গঠন করা অজিত পাওয়ার এবং তাঁকে সমর্থন দেওয়া ২ বিধায়ক, আন্না বনসোদ এবং নরহরি জাহিরওয়াল ছাড়া ৫১ জন এনসিপি বিধায়কই ওই চিঠিতে সই করেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ম্যাজিক সংখ্যা ১৪৫। বিধানসভা নির্বাচনে ৫৬টি আসনে জয়ী হলেও, জোটের পক্ষে ৭ নির্দল বিধায়ক সমেত মোট ৬৩ জনের সমর্থনের সই জমা দিয়েছে শিবসেনা। কংগ্রেসের পক্ষে ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ৪৪ জন বিধায়ক। অজিত পাওয়ারের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারে অংশ নেওয়া ৩ বিধায়ক ছাড়া এনসিপির ৫১ জন বিধায়ক তাতে সই করেছেন। এর পাশাপাশি, শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে সমাজবাদী পার্টিও। তাদের দুই বিধায়ক ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।
উল্লেখ্য, এনসিপি এবং নির্দল বিধায়ক সমেত তাদের পক্ষে ১৭০ জনের সমর্থন রয়েছে বলে এদিনও আদালতে জানিয়েছে বিজেপি। জবাবে ১৫৪ জনের স্বাক্ষর-সহ আদালতে এফিডেভিট জমা দেয় শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। বলা হয়, বাকি ৮ জন এখনও এসে পৌঁছননি। শরদ পাওয়ারও দাবি করেছেন, অজিত ছাড়া বাকি ৫৩ জন বিধায়কের সমর্থনই তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। তাঁর দাবি, শিবসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়তে যে চিঠি তৈরি করা হয়েছিল, সকলকে অন্ধকারে রেখে তাতেই দলীয় বিধায়কদের সই করিয়ে নেন অজিত। কিন্তু আসল সত্যি জানতে পেরে সকলে ফিরে এসেছেন।