কালিয়াগঞ্জ, করিমপুর এবং খড়গপুর সদর- রাজ্যের এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ। আজ সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ার পর এই তিন জায়গা থেকেই কিছু বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গেছে। যেমন কালিয়াগঞ্জে বুথের ভেতর ইভিএমের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের স্ত্রীকে পদ্ম চিহ্নে ভোট দিতে বলায়, বিজেপি প্রার্থী কমল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় তৃণমূল। আবার করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে।
সোমবার সকালে উপনির্বাচন চলাকালীন করিমপুরের পিপুলখোলায় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই জয়প্রকাশকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে বিজেপির অভিযোগ। তাদের দাবি, এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ পিপুলখোলা এলাকার একটি বুথে যান জয়প্রকাশ। সেই সময়ই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একদল লোক। এলোপাথাড়ি লাথি-কিল-চড় মারা হয় তাঁকে। লাথির আঘাতে টাল সামলাতে না পেরে রাস্তার পাশের একটি ঝোপের ভিতর পড়ে যান জয়প্রকাশ। তাঁর অভিযোগ, এই গোটা ঘটনার পিছনেই তৃণমূলের হাত রয়েছে।
তবে এই ঘটনায় তাদের দলের কেউ জড়িত নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। বরং ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায় বলছেন, জয়প্রকাশ ‘নাটক’ করছেন। তাঁর কথায়, ‘অভিনয় করতে ভালবাসেন উনি। তাই নাটক করছেন।’ একই কথা বলছেন নদিয়ার তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর দাবি, এই ঘটনা পরিকল্পিত ভাবেই ঘটানো হয়েছে।
রাজীবের দাবি, ‘টিভি-ক্যামেরা ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি। এখানে বিজেপির অনেকেই জয়প্রকাশবাবুকে প্রার্থী হিসেবে মানতে চাননি। ওদের দলের মধ্যে কোন্দল আছে। যা প্রকট হয়েছে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে মানুষের সহানুভূতি কুড়োতে এখন পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ভোটের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষ এর জবাব দেবেন।’ তৃণমূল এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, আমাদের কেউ এই ঘটনায় জড়িত নেই। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। ভোট বাক্সে তাঁর প্রমাণ পাওয়া যাবে।