এবার ‘নিখোঁজ’ ৪ দলীয় বিধায়ককে ফিরিয়ে আনলেন ‘মারাঠা স্ট্রংম্যান’ শরদ পাওয়ার। হ্যাঁ, শনিবার এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই দলের যে ৪ নিখোঁজ ছিলেন, তাঁদের ‘উদ্ধার’ করা হয়েছে বলে সোমবার দাবি করল এনসিপি। সেইসঙ্গে শরদ পাওয়ারের দলের তরফে জানান হয়েছে, এনসিপির ৫৪ জন বিধায়কের মধ্যে ৫৩ জনই দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন। এখন বিজেপির সঙ্গে শুধুমাত্র এনসিপির অজিত পাওয়ার ছাড়া আর কোনও বিধায়ক নেই।
সূত্রের খবর, শনিবার বিজেপি চ্যাটার্ড ফ্লাইটে কয়েকজন ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ককে দিল্লী উড়িয়ে নিয়ে যায়। তাঁদের তিনজনকে এনসিপির যুব শাখা ‘উদ্ধার’ করেছে। তাঁদের নাম দৌলত দারোদা, অনিল পাতিল ও নীতিন পাওয়ার। তাঁদের দু’জনকে গুরগাঁও থেকে মুম্বইতে উড়িয়ে আনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, ‘বিধায়করা গুরগাঁওতে হোটেল ওবেরয়-এর ৫১১৭ নম্বর ঘরে ছিলেন। শিবসেনা ও এনসিপি যৌথভাবে রেসকিউ অপারেশন চালিয়েছে।’ রাউতের দাবি, ওই তিন বিধায়ক জানিয়েছেন, বিজেপি কী ষড়যন্ত্র করেছিল।
উল্লেখ্য, শনিবার দৌলত দারোদাকে ‘নিখোঁজ’ বলে সুপ্রিম কোর্টে ডায়েরি করা হয়েছিল। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, দৌলত দারোদা বলছেন, আমি শরদ পওয়ারকে সমর্থন করি। তাঁর কথায়, ‘আমি নিরাপদে আছি। আমি ঘড়ি চিহ্নে ভোটে দাঁড়িয়ে বিধায়ক হয়েছি। এখন দলবদল করার প্রশ্নই ওঠে না। শরদ পাওয়ার ও অজিত পওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমি তা মেনে চলব। কোনও গুজবে বিশ্বাস করবেন না।’
অবশেষে, সোমবার ভোর সাড়ে চারটের সময় তিন বিধায়ক গুরগাঁও থেকে মুম্বই এয়ারপোর্টে নামেন। অপর বিধায়ক দিল্লী থেকে মুম্বইতে ফিরেছেন। তাঁর নাম নরহরি জাহিরওয়াল। এনসিপির শীর্ষ নেতা নবাব মালিক বলেন, ‘১৬৫ জন বিধায়ক আমাদের সমর্থন করছেন। এনসিপির ৫৩ জন বিধায়কই আমাদের সঙ্গে আছেন। অজিত পাওয়ার ভুল করেছেন। তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত।’