ঠিক যেন কোনও থ্রিলার ছবির রুদ্ধশ্বাস ক্লাইম্যাক্স! যেখানে চিত্রনাট্যের একদম শেষেই লুকনো ছিল চমকে দেওয়ার মত ট্যুইস্ট! ঠিক ছিল শনিবার বিকালে কংগ্রেস ও এনসিপির সমর্থনের চিঠি নিয়ে রাজভবনে গিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানাবে শিবসেনা। কিন্তু সকালেই, সকলের অলক্ষ্যে এনসিপির সমর্থনে দ্বিতীয়বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে নেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডনবিশ। আর সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার। যা দেখে এনসিপি ও শিবসেনার মতই হতবাক কংগ্রেসও।
তবে অজিত পাওয়ার যে চমক দিয়েছেন তাতে জোর ধাক্কা খেলেও দমে যায়নি হাত শিবির। কংগ্রেসের দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে বিজেপিকে, আর তারা নিশ্চিত যে বিজেপি সেটা পারবে না। তাই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়বে তারাই। কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘আমাদের সবই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। তার ভিত্তিতে শরদ পওয়ার ঘোষণাও করে দিয়েছিলেন। দু’একটা ব্যাপারে সামান্য আলেচনা হওয়ার কথা ছিল আজ সকালে। সে সব ব্যাপার বিরাট কিছু নয়। কিন্তু তার আগেই এই কাণ্ড ঘটে গেল।’
তবে কংগ্রেস যে এখনও সরকার গঠনের বিষয়ে আশাবাদী, এবং তাঁরা (এনসিপি, শিবসেনা ও কংগ্রেস) যে এখনও একসঙ্গেই আছেন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্যাটেল। তাঁর কথায়, ‘বিধানসভা শুরু হলে আমরা মিলিত ভাবেই রণনীতি গ্রহণ করব।’ বিজেপির দল ভাঙিয়ে সরকার গড়ার নিন্দা করে প্যাটেল বলেন, এর থেকে লজ্জাজনক কিছুই হয় না। বিজেপি নির্লজ্জতার সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই শপথগ্রহণ গণতন্ত্রের জন্য লজ্জা। অজিত পাওয়ারের সমালোচনায় তিনি বলেন, একজন নেতা কারও থেকে অনুমতি না নিয়ে গোপনে রাজ্যপালের কাছে চলে গেলেন, এমনটা লজ্জাজনক। মহারাষ্ট্রের ইতিহাসে এ এক কালো দিন। আমি আশঙ্কা করেছিলাম, এমনটা হতে পারে।