শনিবার থেকে পুরুলিয়া জেলা জুড়ে শুরু হবে ‘বাংলার আবাস যোজনা সপ্তাহ’ উদযাপন। জেলা জুড়ে এই এক সপ্তাহে শুরু হয়ে যাবে ৫০ হাজারেরও বেশি বাড়ি তৈরির কাজ। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতারা নানা জায়গায় জনসংযোগ করতে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়েই বাড়ি পাচ্ছেন না বলে অনেক মানুষই তাঁদের কাছে অভিযোগ করছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন বছরে জেলায় ৬৯,৫১৮টি বাড়ি আবাস যোজনায় তৈরি করা হয়েছে। জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, ‘‘চলতি আর্থিক বছরে আমরা জেলায় ৫০,২২২টি বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি। শনিবার থেকে জেলা জুড়ে বাংলার আবাস যোজনা সপ্তাহ শুরু হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য, এই সপ্তাহের মধ্যেই যাতে উপভোক্তারা নিজেদের বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’’
শুক্রবার একটি ট্যাবলোর যাত্রা শুরু করেন জেলা সভাধিপতি ও জেলাশাসক। সভাধিপতি জানান, নির্মাণে এ বার নজরদারি থাকবে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা সে দায়িত্বে থাকবেন। তিনি বলেন, ‘‘অনুমোদনের পরে কোনও বেনিয়ম হলে, উপভোক্তা সরাসরি বিডিওর কাছে অভিযোগ করবেন”।
তবে ঘর তৈরির জন্যে অন্যায় ভাবে কাউকে কোনও টাকা দেবেন না— ইট গাঁথার আগে এমনই শপথ পাঠ করবেন আবাস যোজনা প্রকল্পের উপভোক্তারা। আজ, ওই কর্মসূচিতেই জেলার কুড়িটি ব্লকের সমস্ত পঞ্চায়েতের উপভোক্তাদের নিয়ে এই শপথবাক্য পাঠ করানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই প্রকল্পে বাড়ি নির্মাণের জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পান উপভোক্তারা। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছবে। অনুমোদনের পরেই মিলবে ৬০ হাজার টাকা। জানালার নীচ পর্যন্ত তৈরি হলে পরের কিস্তির ৬০ হাজার টাকা। তার পরে, বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হলে এবং সেই বাড়ির ছবি তুলে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ‘আপলোড’ করলে মিলবে বাকি দশ হাজার টাকা।