অর্থনৈতিক মন্দায় দেশ জুড়ে বেহাল দশা। তারমধ্যেই জিএসটি আদায় কমায় সরকারি রাজকোষের হাল নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এবার পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান এনকে সিংহ এই কর সংগ্রহ বাড়াতে ঘন ঘন তার হার বদলের বিরুদ্ধে সওয়াল করলেন। শুধু তাই নয়, তিনি জোর দিলেন জিএসটি ব্যবস্থার কাঠামো বদল ও তা জমার প্রক্রিয়া আরও সরলীকরনের উপর।
এই বিষয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “জিএসটি আদায় কমেছে বিভিন্ন ব্যবসার মধ্যে চলা লেনদেনে ভুয়ো বিল তৈরির কারণেই। এ ভাবে কর ফাঁকির জেরে কেন্দ্র চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আদায় বাড়ছে না”।
কিন্তু অনেকের মত, কর ফাঁকি রোখার যুক্তি দেখিয়েই এক সময় জিএসটি আনার পক্ষে সওয়াল করেছিল কেন্দ্র। মোদী সরকার জোর দিয়ে বলেছিল জিএসটি এলে কেউ কর ফাঁকি দিতে পারবে না। তালে এখন এই হাল কেন?
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রেরও অভিযোগ ছিল, ‘‘জিএসটি-তে জালিয়াতি-প্রতারণা বন্ধ করতে ফাঁকফোকর বোজানোর জন্য বারবার বলেছি। তা সত্ত্বেও জিএসটি পরিষদে আলোচনা হয়নি”।
কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে করের ভাগ ঠিক করে অর্থ কমিশন। তার কর্তা হিসেবে জিএসটি আদায় আশানুরূপ না হওয়া নিয়ে আজ উদ্বেগ প্রকাশ করেন সিংহ। তাঁর দাবি, ‘‘এই ব্যবস্থা সরল না হলে তা চালুর উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। জিএসটি আদায় না-বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ কর জমা দেওয়ার জটিল প্রক্রিয়া।’’ এবিষয়ে কেন্দ্রকে ভাবতে হবে। জিএসটি প্রক্রিয়া সরল করতে হবে মোদী সরকারকে৷