স্বামীর গাড়িতে স্ত্রী ঘুরবে এটাই স্বাভাবিক। তবে স্বামী যদি হয় সাংসদ আর স্ত্রী যদি স্বামীর ‘মেম্বার অফ পার্লামেন্ট’ লেখা বোর্ড লাগানো গাড়ি করে দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন তখনই শুরু হয় বিতর্ক। এই রকমই বিতর্কে জড়িয়েছেন সাংসদ পত্নী সুজাতা খাঁ। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা খাঁ সোমবার পুরুলিয়ার গাড়িখানায় মদ বিরোধী আন্দোলনে অবরোধ কর্মসূচিতে ওই গাড়িতে এসে বিতর্কে জড়ান। ওই গাড়িতে চালকের পাশে বাঁদিকের কাচে লাল কালিতে ‘এমপি’ লেখা রয়েছে। তার নিচেই রয়েছে লাল রঙের বোর্ডে সাদা হরফে লেখা ‘মেম্বার অফ পার্লামেন্ট’। সেখানেই আছে সাদা রঙে আঁকা অশোক স্তম্ভের চিহ্ন।
এদিন গাড়িখানায় পুরুলিয়া–বরাকর রাজ্য সড়কে প্রায় দেড় ঘন্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির মহিলা নেতা–কর্মীরা। সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার বিজেপির এই কর্মসূচিকে ঘিরে রাজ্য সড়কে ব্যাপক যানজট বেধে যায়। মহিলা মোর্চার কর্মীরা রাজ্য সড়কে বসে পড়ে অবরোধ করেন। দিতে থাকেন স্লোগান। বেলা বারোটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত অবরোধে সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি হয়। ছোট–বড় গাড়ি আটকে যাওয়ায় যানজট সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।
এদিন এই অবরোধ কর্মসূচি শেষে সাংসদ পত্নী তথা মহিলা মোর্চার সদস্য সুজাতা খাঁ বলেন, “সংবিধানে কোথাও লেখা নেই যে এমপি–র গাড়িতে তাঁর স্ত্রী চাপতে পারবেন না। যদি সংবিধানে লেখা থাকত তাহলে নিশ্চই মেনে চলতাম। যে পার্লামেন্ট, সংবিধান সাংসদের স্ত্রীকে সমস্ত রকম সুবিধা দেয়, তাঁর গাড়ি তো আমি ব্যবহার করতেই পারি। এটা বেআইনি কিছু না। বেআইনি তো এই মদের দোকান।”
যদিও পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জি বলেন, ‘এটা বেআইনি। তাঁরা সবসময়ই বেআইনি কাজ করে থাকেন। মানুষ দেখুক তঁারা কী করছেন! আর যে ভাবে রাস্তায় বসে মানুষের সমস্যা সৃষ্টি করে আন্দোলন করেছেন, সেটাও ঠিক নয়। আইনি পথে গিয়ে বলা দরকার ছিল।’ এদিকে, পুরুলিয়ার সিপিএম নেতা নিলয় মুখার্জি বলেন, ‘সাংসদের গাড়ি সাংসদ ছাড়া আর কারও ব্যবহার করা উচিত নয়।’