এই মুহূর্তে বাংলায় সব থেকে আলোচ্য বিষয় এনআরসি। এনআরসি’র আতঙ্ক রাজ্যের সাধারণ মানুষকে গ্রাস করেছে। তার অপর ইতিমধ্যেই আসামে এনআরসি লাগু হয়েছে। আর এই এনআরসি’র কবলে পড়ে ১২ লক্ষ হিন্দুর নাম বাদ পড়েছে। রীতিমতো গোটা আসাম জুড়ে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। বাংলার সাধারণ মানুষেরও সেই চিন্তায় রাতের ঘুম ছুটেছে।
তবে বাংলায় এনআরসি লাগু করা হবে না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এনআরসি’র প্রতিবাদে পথসভা, পদযাত্রার মতো একাধিক কর্মসূচি পালন করছে শাসক দল তৃণমূল। আর সেই মতোই বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী থানা পিয়ারবেড়াতে অনুষ্ঠিত হল এনআরসি’র প্রতিবাদে একটি পথসভা। এই পথসভায় সোনামুখী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ২২১টি পরিবার থেকে ৮৫০ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেলেন। তাদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা।
পথসভার পর মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘বিজেপি মানেই খুন, সন্ত্রাস, মিথ্যাবাদী, বিষ পার্টি। সেটা আজকে প্রতিটা মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। বিজেপি যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার কোনওটাই পূরণ করতে পারেনি। এছাড়া বিজেপি মিথ্যা ভাষণ দিয়ে এলাকার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কথা চিন্তা করেই বিজেপি কর্মীরা আজ তৃণমূলে যোগদান করলেন’। আগামী দিনে সোনামুখী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস তার হারানো জমি ফিরে পাবে বলে মনে করছেন শ্যামল সাঁতরা।