অক্লান্ত ভাবে মানুষের বিপদে আপদে মানুষের পাশে থাকেন তিনি। পরিশ্রমকে ভয় পান না। এমনকী মানুষের স্বার্থে তিনি যে কোনও লড়াইয়ে নামতে পারেন। কারণ মানুষের দুঃখ–কষ্টে তাঁর হৃদয় কাঁদে। শনিবার রাত ১০টায় মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছে নবান্নের কন্ট্রোলরুম দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করতে। এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলেছে, বুলবুলে বলি হয়েছে ২ জনের। আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যই ব্যাপক প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এবার তা মানতে বাধ্য হলেন প্রতিপক্ষ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে ঝড়ের সম্পর্কে খবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির মোকাবিলায় সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাসও দেন তিনি। সকলের সুরক্ষিত থাকারও প্রার্থনা করেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের টুইটারে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার একটানা রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত নবান্নে বসে ঝড়ের মতিগতি বোঝা থেকে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের তদারকি করা, উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজনকে ত্রাণ শিবিরে পাঠানো, তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও ওষুধপত্র মজুত করা, বিপর্যয় মোকাবিলার টিম পাঠানো, জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করা নিজে হাতে সামলালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তার প্রশংসাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী–রাজ্যপাল। আসলে সঠিক কাজ করলে এভাবেই স্বীকৃতি মেলে।
রবিবার সকালে রাজ্য সরকারের তৎপরতার প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল। তিনি টুইট করে জানান, নৌসেনা, রাজ্য পুলিশ এবং উপকূলরক্ষীরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদে আনতে নানা পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যপাল স্বেচ্ছাসেবি সংস্থাগুলিকে এগিয়ে আসার বার্তাও দিয়েছেন। উল্লেখ্য, রাত পর্যন্ত কড়া নজরে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত সাড়ে ১০টায় নবান্ন কন্ট্রোল রুমে নিজে বসে তদারকি করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রবিবার সকাল থেকেই ড্রোন নিয়ে নজরদারি শুরু হবে। কোন এলাকায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেখা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন আরও বলেন, যাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙেছে এবং চাষের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের তালিকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। রাত পর্যন্ত ৩১৫টি সাইক্লোন ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে ১.৬৪ লক্ষ মানুষকে। ২১৫টি রান্নাঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সব দায়িত্ব সরকারের বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।