গত ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা দুটির পুনরুজ্জীবন প্রকল্পে ৬৯,০০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। যার অন্যতম অঙ্গ ছিল ভিআরএস। পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন টেলিকমমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই সোমবার তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেন দুই সংস্থার কর্মী ও আধিকারিকদের সংগঠন। বৈঠকের পরেই বিএসএনএলের স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প ঘোষণা কেন্দ্রের। যার জেরে চাকরি হারাতে পারেন বহু কর্মী।
সোমবার রাতেই আনুষ্ঠানিকভাবে স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প (ভিআরএস) ঘোষণা করল বিএসএনএল এবং এমটিএনএল। কোন কর্মীরা কবে কীভাবে এতে শামিল হবেন, সে বিষয়েও বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হল। সংস্থার সব সার্কলের শীর্ষ কর্তাদের এই নির্দেশিকা পাঠান ডিজিএম এসএস প্রসাদ। সংস্থার অফিসিয়াল পোর্টালেও এই সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সংস্থার অভিযোগ, স্বেচ্ছাবসরের মাধ্যমে কেন্দ্র এই দুই সংস্থায় প্রচুর পরিমাণ পদের অবলুপ্তি ঘটাতে চলেছে। ফলে প্রায় এক লক্ষ কর্মী চাকরি খোয়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই কর্মসংস্থানের বাজারে এর খারাপ প্রভাব পড়বে। এই ঘোষণার জেরে কর্মীদের মধ্যেও বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আচমকা এভাবে কাজ চলে যাওয়ার আশঙ্কায় ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তিত কর্মীরা।
পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে বিএসএনএলের সঙ্গে মিশে যাবে এমটিএনএল। জানা গিয়েছে, এই সংস্থায় ভিআরএস স্কিমের আওয়ার আসার শেষ তারিখ চলতি বছরের ৩ ডিসেম্বর। ৫০ বছর এবং তার বেশি বয়সের কর্মীরাই এই স্কিমের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। বিএসএনএল এবং এমটিএনএল মিলিয়ে বর্তমানে মোট দু’লক্ষ কর্মচারী রয়েছে। যার মধ্যে এক লক্ষ ২১ হাজারই এই স্কিমের আওয়ায় আসতে পারবেন। অবসরের বয়স ৬০ থেকে কমে ৫৮ বছর হবে বলেও জল্পনা চলছে।