দীপাবলির উৎসবের মধ্যেই উৎকন্ঠায় কাটাচ্ছিল পরিবার। মাঝে একবার পাওয়া গিয়েছিল আশার আলো। কাশ্মীর থেকে ফোন করেছিলেন আহত জাহিরুদ্দিন। স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, সুস্থ রয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরেই যেন ঘোর আঁধার। শ্রীনগর থেকে সাগরদিঘি গ্রামে খবর এল, জাহিরউদ্দিন মৃত। এই নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬।
গতকাল রাতে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থেকে কাশ্মীরের কুলগামে কাজ করতে যাওয়া পাঁচ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। সেই হামলাতেই গুলিবিদ্ধ হন জাহিরুদ্দিন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে শ্রীনগরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ সকাল থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবণতি হতে শুরু করে। চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারেননি।
ডাক্তারদের তরফে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই জহিরুদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগেই নবগ্রামের বেলুড়ি গ্রামের বাসিন্দা পারিতা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল জাহিরুদ্দিনের। বিয়ের পর মাস খানেক আগে কাজের উদ্দেশ্যে কাশ্মীর পাড়ি দিয়েছিলেন জাহিরুদ্দিন।