লোকসভায় বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এলেও, রাজ্যসভায় এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতার ঘাটতি মেটাতে পারেনি বিজেপি। মাঝেমধ্যে কোনও বিল পাস করানোর সময় তা মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে। নানারকম কসরত করতে হয়। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের ভোটের ফলে আগামী দিনগুলিতে সেই মাথাব্যথা আরও বাড়বে। কারণ, দুই রাজ্যেই বিধানসভায় দলের
আসন কমেছে। ২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় বিজেপি–র সদস্য ৮২, সঙ্গীসাথীদের নিয়ে সংখ্যাটা ১১৬। গরিষ্ঠতার অঙ্কের চেয়ে ৭টি আসন কম।
হরিয়ানায় আগামী বছর ২টি আসনে এবং ২০২২ সালে আরও ২টি আসনে ভোট হওয়ার কথা। মহারাষ্ট্রে আগামী বছর ৭টি আসনে এবং ২০২২ সালে ৬টি আসনে ভোট হওয়ার কথা। মহারাষ্ট্রের এই ১৩টি আসনের মধ্যে এনডিএর আসন এখন ৭টি, কংগ্রেস–এনসিপির ৫টি। যদি নিয়মমাফিক এক একটি রাজ্যে একসঙ্গেই ভোট হয়, তা হলে বিজেপির আসন আরও কিছুটা কমে যাওয়ার কথা। কারণ, দুই রাজ্যেই বিধানসভায় তাঁদের আসন কমেছে।
হরিয়ানায় এইমুহূর্তে তাঁদের আসন ৪৭ থেকে নেমে এসেছে ৪০ এ। কংগ্রেসের আসন ১৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩১। মহারাষ্ট্রে ১২২ থেকে বিজেপির কমেছে ১৭ টি আসন। কংগ্রেসের আসন বেড়েছে অল্পই, ২ টি। কিন্তু সঙ্গী দল এনসিপির আসন ৪১ থেকে বেড়ে ৫৪। দুই রাজ্যেই আসন বাড়ানোর স্বপ্নে ছিল বিজেপি। হরিয়ানায় তো লক্ষ্য ছিল ৭৫ টি আসন। কিন্তু ফল হয়েছে অন্যরকম। যার ফলে বিজেপির চিন্তা বাড়ল রাজ্যসভা নিয়ে। কপালে ভাঁজ পড়ল মোদী-শাহের।