ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাল ফিরিয়েছেন বাংলার পর্যটন ব্যবস্থার। তাঁর উদ্যোগেই এখন বাংলা মোহময়ী। মমতার ছোঁয়াতেই শৈলশহর দার্জিলিং হয়ে উঠেছে আরও সুন্দর। দেশ বিদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে বাংলা। জানা গেছে বাণিজ্যিক পর্যটনে অনেক এগিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পর্যটন সংস্থা এসওটিসি ট্র্যাভেল লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি হেড (বিটুবি এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ) এস ডি নন্দকুমার এ কথা জানান।
নন্দকুমারের কথায়, এসওটিসির মোট ‘মাইস’ পর্যটন ব্যবসার ১০ শতাংশ এবং লিজার ট্র্যাভেল ব্যবসার ১৫ শতাংশ পূর্বাঞ্চল থেকে আসে। এ বছর পূর্বাঞ্চল থেকে দুই ব্যবসাই বাড়বে বলে মনে করছে এসওটিসি। গত বছর পূর্বাঞ্চল থেকে সংস্থার মোট ব্যবসা ৮-১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। এ বছর সেটা ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হারে বাড়বে বলেই আশাবাদী নন্দকুমার। তাঁর কথায়, পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৫০টি সংস্থার ‘মাইস’ পর্যটন দেখভাল করে এসওটিসি। ‘বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে শিল্প সংস্থাগুলি নিজেদের কর্মী এবং পদস্থ কর্তাদের ভ্রমণে রাশ টানলেও ‘মাইস’ পর্যটনের ক্ষেত্রে কার্পণ্য করছে না। অন্যদিকে, বিমা, সিমেন্ট এবং রং শিল্পে নিযুক্ত সংস্থাগুলি তাদের পূর্ব পরিকল্পনা থেকে পিছু হটেনি।’
নন্দকুমার জানান, গত ১০ বছরে ভারতের পর্যটন ক্ষেত্র বার্ষিক ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেলেও মাইস (মিটিং, ইনসেনটিভ, কনফারেন্স এবং এগিজিবিশন) পর্যটন ক্ষেত্র অনেক বেশি বেড়েছে এবং এ ক্ষেত্রে পূর্বাঞ্চল, বিশেষত কলকাতা, দেশের বাকি অঞ্চলগুলির থেকে অনেক এগিয়ে। তিনি বলেন, ‘পূর্বাঞ্চলের, বিশেষ করে কলকাতার সংস্থাগুলিই প্রথমে তাদের ডিলার-ডিস্ট্রিবিউটরদের রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ডের মতো নতুন গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া শুরু করে এবং দেশের অন্য অঞ্চলের সংস্থাগুলিও এখন তা অনুসরণ করছে। ব্যক্তিগত ভ্রমণের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে পূর্বাঞ্চলের পর্যটকদের মধ্যে।’