গরু একটি তৃণভোজী প্রাণী। ছোটবেলা থেকে পাঠ্যবইয়ে এটাই জেনে এসেছি আমি। কিন্তু সেই ধারণা ভেঙে খানখান করে দিল গোয়ার ৭৬টি গরু। মুরগির মাংস থেকে মাছ ভাজা—সব খেয়ে নিচ্ছে সেই গরুগুলি। আর এই ঘটনা নিয়ে চিন্তায় গোয়ার বিজেপি সরকার।
রাজ্যের মন্ত্রী মাইকেল লোবো বলেছেন, “হঠাৎ করেই দেখা গিয়েছে কালাংগুতে এলাকার ৭৬টি গরু এই খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরুগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গোশালায়। কিন্তু সেখানে তাদের ঘাস বা খড় খেতে দিলেও তারা সে সব খাচ্ছে না।” গোমন্তক গোসেবক মহাসঙ্ঘের তরফেও বিষয়টিকে গভীর উদ্বেগের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গোয়া বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার মাইকেল লোবো বলেছেন, “পশু চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন, এই ৭৬ টি গরুকে আলাদা করে গোশালায় রাখতে হবে।”
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই গরুগুলি গোয়ার বিচ লাগোয়া রেস্টুরেন্টগুলি থেকেই মুরগির মাংসের বাতিল অংশ, মাছ ইত্যাদি খেত। গত কয়েক মাসের মধ্যে এই প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। লোবো জানিয়েছেন, গোয়ার রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে। কমছে জমির পরিমাণও। এই কারণেই হয়তো গরুগুলি এই ধরনের খ্যাদ্যাভাসে পৌঁছেছে।
যে গ্রামগুলি থেকে গরুগুলি চড়তে আসত রাস্তায় সেগুলি মূলত মৎস্যজীবীদের। গ্রামের মানুষের কারণেই এই বিরল উপলক্ষ দেখা দিয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে সরকারের প্রাণীসম্পদ দফতরের তরফে। তবে লোবো বলেন, যুগের পর যুগ ধরে গোয়ার সমুদ্র তীরবর্তী গ্রামগুলিতে মৎস্যজীবীরাই থাকেন। অতীতে এমন ঘটনা দেখা যায়নি। গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন গোয়ার এই মন্ত্রী এবং বিজেপি সরকার।