খড়্গপুরে তালবাগিচা এলাকায় বসবাসকারী মানুষেরা নিজেদের জমির পাট্টা পেতে ৭০ বছর ধরে গণআন্দোলন, আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। শেষ অবধি মমতার সরকার তাদের মুখে হাসি ফোটাল। এই এলাকায় বসবাসকারী ১০৮ টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল জমির পাট্টা। দেশজুড়ে যখন এনআরসি ভয়ে মানুষ ভীত, চিন্তিত, ঠিক সেই সময় তৃণমূল সরকারের এই পদক্ষেপে স্বস্তির ছাপ দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
বুধবার এই পাট্টা প্রদান অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জেলাশাসক রশ্মিকমল, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা, সহ-সভাপতি অজিত মাইতি। তৃণমূল নেত্রীর উদ্যোগে এই জমির পাট্টা পাওয়ায় সাধারণ মানুষের উপকার হয়েছে। এখন থেকে এসব এলাকায় বসবাসকারীরা জমির মালিকানাস্বত্ব পেলেন৷ জমি কেনা-বেচা করা যাবে। বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়া যাবে, এমনকি বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের বাড়ি তৈরি করা যাবে।
সাত দশক পর এলাকাবাসীর উদবাস্তু তকমা ঘুচতে চলেছে, এজন্য সকাল থেকেই তালবাগিচা, দীনেশনগরের এলাকাবাসীরা আনন্দে মেতেছিলেন। কাল ছিল তাদের সবচেয়ে খুশির দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন, সর্বদা জমি রক্ষায় কৃষক ও সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন। নন্দীগ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জমি ফেরত দিয়েছেন। এবার এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জমির পাট্টা দিয়ে, তাদের উদ্বাস্তু তকমা সরালেন। সাধারণ মানুষ তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।