এদিন কোন বিরুদ্ধতা নয়। নয় কোনো খেউর। এদিন গ্যালারিতে ছিল একেবারে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান। একে অপরের দিকে বাড়িয়ে দেওয়া ছিল সহযোগিতার হাত। এইদিন কেউ ইস্টবেঙ্গল, মোহন বাগান বা মহামেডান না, সবাই গ্যালারিতে উপস্থিত ছিল ভারতীয় সমর্থক হিসেবে। আর সবার মুখে মুখে শোনা যাচ্ছিল একটাই ধবনি, ইন্ডিয়া…ইন্ডিয়া…।
সুনিল-গুরপ্রীতরা তখন সবে টানেল থেকে বেড়িয়ে মাঠে ঢুকছেন। গোলপোস্টের পেছনের গ্যালারি থেকে নামল সেই বিশালাকায় টিফোটা। সেই টিফোতে বাঙালির খুব চেনা কয়েকটি রং। যেই রংগুলি মিশে আছে যুবভারতীর আনাছে-কানাচে, প্রতিটি ঘাসের ডগায়। সেই টিফোকে স্বাগত জানাচ্ছেন তখন গ্যালারিতে উপস্থিত থাকা প্রায় ৬০ হাজার দর্শক।
ভরা গ্যালারি, গগনভেদী চিৎকার আর টিফো প্রদর্শন যুবভারতীর কাছে খুব একটা নতুন নয়। শেষ কয়েকটি বড় ম্যাচে বিশালাকার সুদৃশ্য টিফো বারবার দেখা গিয়েছে দুই বড় দলের সমর্থকদের কাছে। সেই টিফোগুলিতে ছিল ক্লাবের পাশে থাকার বার্তা, আবার কোথাও ছিল প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে তীব্র ব্যঙ্গবিদ্রুপ। কিন্তু গতকালের টিফোটা ছিল একে অপরের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে। বুঝিয়ে দেওয়া ছিল, ভারতীয় ফুটবলের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে পাশে থাকা যায়।
বিশালাকার সেই টিফোতে পাশাপাশি আঁকা ছিল ৩ টি মানুষ। তাঁদের পরনে রয়েছে যথাক্রমে সাদা-কালো, সবুজ-মেরুন এবং লাল-হলুদ জার্সি। একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে তাঁরা। ভারতীয় দলের ম্যাচে সব ব্যবধান মুছে কলকাতা ফুটবলের এই দুরন্ত সহাবস্থান মনে থাকবে বহুদিন।