আরও এক বার প্রকাশ্যে এল সিবিআইয়ের ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’। এ বার সিবিআইয়ের এক শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো সঙ্ঘর্ষ’-এর অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি লিখলেন ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারই আরও এক আধিকারিক।
জানা গিয়েছে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সিবিআইয়ের ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট এনপি মিশ্র চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। শুধু নরেন্দ্র মোদীর দফতর নয়। তিনি চিঠি দিয়েছেন সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনার এবং সিবিআই ডিরেক্টরকেও। পাঁচ পাতার চিঠিতে মিশ্র সরাসরি অভিযোগ এনেছেন যুগ্ম অধিকর্তা একে ভাটনগরের বিরুদ্ধে। সরাসরি অভিযোগ তুলে বলেছেন, ভুয়ো এনকাউন্টারে ঝাড়খণ্ডের ১৪ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা কররেছেন ভাটনগর। পাশাপাশি তাঁর পদত্যাগেরও দাবিও তুলেছেন মিশ্র।
শুধু ভুয়ো এনকাউন্টারই নয়, ভাটনগরের বিরুদ্ধে দুর্নীতিরও অভিযোগ তুলেছেন এন পি মিশ্র। সিবিআইয়ের কাছে এ বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। ভাটনগরের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ এবং চিঠির বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি সংবাদমাধ্যম। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া মেলেনি সিবিআইয়ের কাছ থেকে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির ‘অন্তর্কলহ’ এই প্রথম প্রকাশ্যে এল, এমনটা নয়। এর আগে সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মা এবং তাঁর ডেপুটি রাকেশ আস্থানার দ্বন্দ্ব জনসমক্ষে চলে আসে। গত বছরেই সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং ছত্তীসগঢ়ের সাংবাদিক উমেশ রাজপুত খুনের তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তুলেছিলেন মিশ্র। যদিও তাঁর সেই অভিযোগকে সম্পূর্ণ নস্যাত্ করে দিয়েছিল সিবিআই। এবার সিবিআই-এর শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ভুয়ো এনকাউন্টারের অভিযোগ উঠল।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এমনিতেই কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের শেষ নেই। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল, এনসিপি থেকে তেলুগু দেশম – দেশের প্রায় সব বিজেপি বিরোধী দলই এ ব্যাপারে এক সুরে অভিযোগ তুলছে। এর মধ্যেই সিবিআইয়ের মধ্যে এমন কোন্দল তাদেরই আরও অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।