বাঙালির ভোজন রসিকতার কথা আলাদা করে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর গুরুপাক খাওয়াদাওয়ার পরে বাঙালির একমাত্র ভরসা অ্যান্টাসিড। বাঙালির খাদ্যপ্রীতিকে বহু দিন ধরে ভরসা যুগিয়েছে জিনট্যাক, র্যানট্যাকের মত অ্যান্টাসিডগুলি। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে এই ধরণের অ্যান্টাসিডগুলি থেকে হতে পারে ক্যানসার। তাই বন্ধ হতে চলেছে এই সমস্ত ওষুধ গুলির বিক্রি। উল্লেখ্য এই আশঙ্কার কথা আজ থেকে ৬০ বছর আগে জানিয়ে দিয়েছিলেন ডঃ বিধানচন্দ্র রায়।
প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টাসিড বিষের থেকেও মারাত্মক। অন্তত ৬০ বছর আগে সতর্ক করেছিলেন এরাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ বিধানচন্দ্র রায়। ব্যাগ বা পার্স হাতড়ালেই অনেকের কাছেই মিলবে অ্যান্টাসিড। হজমের সমস্যা, মাথাব্যথা থেকে গলাবুক জ্বালা — যে কোনও ছোটখাটো সমস্যার রেডিমেডি সমাধান। সেই অ্যান্টাসিড থেকে ক্যান্সারের সম্ভাবনা। আমেরিকার পর ভারতেও সতর্কতা জারি হল।
পেটের সমস্যায় মূলত ব্যবহৃত ওষুধ ব়্যানিটিডিন। এই ব়্যানিটিডিনের বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া ব্র্যান্ড হল জিনট্যাক। বহুল ব্যবহৃত এই ওষুধের প্রস্তুতকারক সংস্থা গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের। মার্কিন ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফ ডি এ ব়্যানিটিডিন সম্পর্কিত সতর্কতা জারি করেছিল। এরপরই মুড়ি মুড়কির মতো জিনট্যাক খাওয়া আমজনতা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। গবেষণা থেকে জানা গেছে ব়্যানটিডিনে সামান্য পরিমাণে এনডিএমএ-র খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যা থেকে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়। তার ফলেই আপাতত জিনট্যাক বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব়্যানটাক এবং ব়্যানটাক-ওডিও ব়্যানিটিডিন জাতীয় ওষুধ। এই ওষুধগুলিতে ওই ক্ষতিকর পদার্থ রয়েছে কি না, তা নিয়েও আতঙ্কিত প্রায় সকলেই।